চাঁদপুর: মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে চাঁদপুরে কুমিল্লা বিভাগীয় বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চাঁদপুর জেলা বিএনপির আয়োজনে শনিবার (২৭ ফ্রেবুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের মুনিরা ভবনে এ সভায় অংশ নেন কুমিল্লা বিভাগের বিভিন্ন ইউনিটের বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডঃ মোঃ বোরহাস উদ্দিন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তার বক্ত্যবে বলেণ প্রত্যেকটা ঘটনা থেকে প্রত্যেকটা কিছু শিক্ষা নিতে হয়। মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের ঘোষকের দল বিএনপি। আমাদের দলে যতজন মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে, বর্তমান সরকারি দলেও তো এতো মুক্তিযোদ্ধা নেই। দেশের যেই অবস্থা শুরু হয়েছে এর জন্য পুরোপুরিই দায়িই আওয়ামী লীগ। আমরা গনতন্ত্র বিশ্বাস করি। গনতন্ত্র শুধু বিএনপির জন্য নয় আওয়ামীলীগেরও জন্য দরকার।
তিনি আওয়ামীলীগ এবং শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্যে কওে বলেন, সময় এসে গেছে আপনার খালেদা জিয়াকে জেল থেকে ছেড়ে দিন। তারপর খালেদা জিয়ার কাছে আপনাদেও আওয়ামী লীগের সকল অপকর্মের জন্য মাফ চেয়ে নিন। এরপর নিজেরা ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে দেশে একটি সুষ্ঠ নির্বাচন দিন।
তিনি তার বক্ত্যবে আরো বলেন, আর বেশিদিন নয় এ দেশের জনগন দেখবে পুলিশও উল্টোপথে দৌড়াচ্ছে। শেখ হাসিনা জেল খানার পথ চিনিয়ে দিয়েছে। খালেদা জিয়া বের হলে এই পথ ধরে শেখ হাসিনাকেও ভিতওে ঢুকতে হবে। বিএনপি ষড়যন্ত্র করেনা, ভোট বিশ^াস করে। ভোটে খালেদা জিয়াকে কেউই হারাতে পারে নি। জিয়াউর রহমানের নামটি কোন সংবিধান কওে পাশ করতে হয়নি। জনগনের সংবিধানে ১৯৭১ সালে জিয়াউর রহমানের নামটি জনগনের হৃদয়ে ধারন হয়ে আছে। মেজর জিয়ার ঘোষনার মাধ্যমেই এ দেশে স্বাধীনতা সৃষ্টি হয়েছে।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে আরো বলেন, পুলিশের কাছে সকলেই কিন্তু সমান। আওয়ামীলীগ কিন্তু আজীবন ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। এই সরকার ইলিয়াছ আলী সহ অনেক মায়ের বুক খালি কওে নের্তাকর্মীদেরকে ঘুম করেছেন। এ দেশের সকল জনগনই জানে জিয়াউর রহমানের প্রতিচ্ছবি তারেক রহমান। দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন সহ দেশ উন্নয়নে প্রয়োজন তারেক রহমানের। এ সরকার আলজাজিরার একটি মাত্র সংবাদে ভীত হয়ে পড়েছেন। দেশের উন্নয়নে ও জনগনের কল্যানে সকল নেতাকর্মীকে এক হয়ে মাঠে নামতে হবে। আগামী একটি বছর জেলা, উপজেলা , ইউনিয়নে আমাদেও কাজ কওে যেতে হবে।
কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব মোঃ মোস্তাক মিয়া তার বক্তব্য বলেন এ জেলা থেকে রাজনীিিততে অনেক কিছু শেখার আছে। চাঁদপুরের নেতাকর্মীরা অনেক পরিশ্রমি। আমাদেও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত এবং তারেক রহমানকে বীরের বেশে এ দেশে ফিরিয়ে আনতে হলে এ সরকারকে ক্ষমতা রাখা যাবেনা। আওয়ামীলীগ সরকারের প্রতি মানুষের এখন আর আস্থা নেই। আমাদেও নেতা তারেক রহমান আগামী ১লা মার্চ স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তীর উদ্ধোধন করবেন। চাঁদপুরেই প্রথম সুবর্ন জয়ন্তীর কার্যক্রম শুরু হলো।
বিএনপির প্রবাসী কল্যান বিষয়ক সম্পাদক ও চাঁদপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক তার বক্তব্যে বলেণ , আমি বৃহত্তর কুমিল্লার কৃতি সন্তান খন্দকার মোশারফ হোসেনের কারনেই সুবর্ণ জয়ন্তীর যাত্রাটি শুরু করলাম। আমাদেও সকলকে মনে রাখতে হবে এক বছর আমাদেও বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করতে হবে। আমাদেও সকলকে দায়িত্ব নিতে হবে। প্রত্যেকটি ঘওে ঘওে জিয়াউর রহমানের নাম নতুন প্রজন্মেও কাছে পৌছে দিতে হবে।
বিএনপি নেত্রী ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহান তার বক্ত্যবে বলেণ, আমি কুমিল্লা বিভাগেরই সন্তান। তিনি বলেণ ৭৪ এর দুর্ভিগের ন্যায় দেখতে পাবেন আওয়ামীলীগের গত ১২টি বছর। দেশের সাধারন মানুষের মুল স্বপনই হলো গনতন্ত্র। আওয়ামীলীগ এটা বিশ^াস কওে না। আওয়ামীলীগের কাজ হচ্ছে যারা বিএনপি করবে এবং বিএনপির সাথে জড়িত তাদেরকে এলাকায় বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা। দেশের বিভিন্ন জেলার যুবকদেরকে মিথা মামলা দিয়ে শেখ হাসিনা সরকার মামলা-হামলার মাধ্যমে রেখেছেন। এর জবাব ও দিতে হবে শেখ হাসিনা ও তার দলের লোকজনদেরকে। বিচার-বিভাগকে তারা হাতে নিয়ে তাদেও মতোই সকল কিছু দেশে চাল্লাচ্ছে। জনগন প্রস্তুত হয়ে রয়েছে, সময়ে এসে গেছে এর সঠিক জবাব দেয়ার।
চাঁদপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডঃ সলিমউল্লাহ সেলিম ও যুগ্ম আহবায়ক ও চাঁদপুর সদও উপজেলা পরিষদেও সাবেক চেয়ারম্যান দেওয়ান সফিকুজ্জামানের যৌথ পরিচালনায় অনন্যাও মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডঃ রফিক সিকদার, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশরাফ হোসেনের ছেলে ড. খন্দকার মারুফ হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য ইকরামুজ্জামান, অ্যাডঃ ছাবেরা আলাউদ্দিন হেনা, অ্যাডঃ জিয়াউদ্দিন জিয়া, শামিম হোসাইন, কাজী রফিক, চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক সফিউদ্দিন আহম্মেদ, কুমিল্লার সাবেক ছাত্রনেতা আমিরুজ্জামান আমির, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি আশিকুর রহমান ওয়াসির, ব্রাক্ষনপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি জসিমউদ্দিন, চাঁদপুর সদও থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও প্রবীন বিএনপি নেতা আঃ হামিদ মাষ্টার, সুবর্ণ জয়ন্তী কমিটির চিকিস্যক ডাঃ নজরুল ইসলাম শাহিন, কুমিল্লা উত্তর উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আক্তারুজ্জামান, ব্রাক্ষনবাড়িয়া জেলা বিএনপির সদস্য ওবায়েদুল হক লিটন, সুর্বণ জয়ন্তীর বিভাগীয় প্রচার ও মিডিয়া কমিটির আহবায়ক মোস্তফা জামান, বরুড়া উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সৈয়দ জহিরুল হক স্বপন, চাঁদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাহবুব আনোয়ার বাবলু, হোমনা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মোল্লা, দাউদকান্দি উপজেলা বিএনপির পক্ষে নুর মোহাম্মদ সরকার, তিতাস উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুর মোহাম্মদ , কুমিল্লা উত্তর উপজেলার সালাউদ্দিন সরকার, নবীনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক আঃ ছাত্তার, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আশফাক হোসেন রাজু, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আক্তার হোসেন মাঝি, কচুয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি হুমায়ন কবির প্রধান, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডঃ হারুনুর রশিদ, বিএনপি নেতা শরীফ মোঃ ইউনুছ, মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক নুরুল হক জিতু, চাঁদপুর সদর থানা বিএনপির সভাপতি শাহজালাল মিশন, সাধারন সম্পাদক অ্যাডঃ জাহাঙ্গীর হোসেন খান প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেb বিএনপির বিভাগীয় জেলা ব্রাক্ষনবাড়িয়া, কুমিল্লা ও চাঁদপুরের বিএনপি,যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতাকর্মীসহ প্রিন্ট ও ইলেকটনিক মিডিয়ার গনমাধ্যমকর্মীগন।
ফম/এমএমএ/চৌইই/