ফাহিম শাহরিন কৌশিক খান
চাঁদপুর শহরের কয়লা ঘাট এলাকায় ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে শাহপরাণ ওয়ার্কশপে ফেলা রাখা জরাজীর্ণ বিদ্যুতের তার লেগে আফ্রিদি টলারের সুকানি বাদশার বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে করুণ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তার স্বজনদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মালিক পক্ষরা ময়না তদন্ত ছাড়াই মৃতদেহ দাফন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাদশার মৃতদেহ চাঁদপুর মডেল থানা থেকে নিয়ে দেশের বাড়ি সখীপুর ছুরিরচর উত্তর তারাবুনিয়া গ্রামের বাড়িতে দাফন করে। স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, গত বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় শাহপরাণ ওয়ার্কশপের নাছির কাজ শেষে মাটিতে জরাজীর্ণ তার ফেলে রেখে চলে আসে। এ সময় বাদশা তার ট্রলার রেখে তীরে উঠে জরাজীর্ণ তার গায়ে লাগলে মাটিতে লুটে পরে। স্থানীয়রা তাকে দ্রুত চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসাপাতালে নিয়ে আসলে হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। মৃত্যুর খবর শুনে ওয়ার্কশপের মালিক নাছির ও তার সহযোগীরা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে আসে। রাতে তার স্বজনরা খবর পেয়ে এসে কান্নায় ভেঙ্গে পরে। বাদশা তারাবুনিয়া মৃত কালাম কারিগরের ছেলে। তার কোনো ভাই ও বোন নেই। সংসারের সকল দায়িত্ব সে নিজেই বহন করতো।
গতকাল তার মৃতদেহ থানায় নিয়ে আসলে শাহপরাণ ওয়ার্কশপের নাছির মৃত বাদশার স্বজনদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে থানায় মামলা না দেয়ার জন্য হুমকি প্রদান করে। অসহায় এ পরিবারটি নিরুপায় হয়ে অভিযোগ না দিয়ে ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ বাড়িতে নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে নাছিরের কাছে জানতে চাইলে সে জানায়, মোবাইল চার্জ দিতে গিয়ে বাদশার মৃত্যু হয়েছে। তার স্বজনদের কোনো অভিযোগ নেই বিধায় লাশ ময়না তদন্ত ছাড়াই বাড়িতে নিয়ে যায়।
শিরোনাম:
সোমবার , ২১ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৮ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।