জানা গেছে, গত ৪ মার্চ খেরুদিয়া গ্রামের প্রধানীয়া বাড়ীর শহীদ প্রধানীয়ার স্ত্রীর লজ্জাতুন নেছা বেগমের ক্রয়কৃত পুকুরে মাছ চাষ করেন। ঐ পুকুর থেকে পাশের বাড়ির সন্ত্রাসীরা জাল ফেলে মাছ ধরে নিয়ে যায়। এ সময় শহীদ প্রধানীয়ার ছেলে মহসীন প্রধানীয়া ও তার পুত্রবধূ হিরা বেগম বাধা দিতে গেলে তাদেরকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। পরে শহীদ প্রধানীয়া গত ১০ মার্চ বাদী হয়ে চাঁদপুরে বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যজিষ্ট্রেট আদালত ২/এ দণ্ডবিধির ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩৭৯/৩০৭/৫০৬ (২) ধারায় খোকন প্রধানীয়া, ফারুক প্রধানীয়া, লিটন প্রধানীয়া, মান্নান প্রধানীয়া ও সিদ্দিক প্রধানীয়াসহ ৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। ঐ মামলায় আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে সমন জারি করে। আসামী পক্ষের লোকজন আদালতে স্ব-শরীরে হাজির না হওয়ায় আদালত গত ২৭ জুলাই আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে। চাঁদপুর মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আসাীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন আদালত। মামলার বাদী শহীদ প্রধানীয়া গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামীদের অবস্থান জেনে মডেল থানার ওসির সাথে যোগসাজসে গ্রেফতারী পরোয়ানার কপি নিয়ে ঢাকা ওয়ারী থানা (ডি.এম.পি), অফিসার ইনচার্জের কাছে জমা দেন। গ্রেফতারী পরোয়ানা হাতে পেয়ে ওসির নির্দেশে ওয়ারী থানার এস.আই শাহ্আলম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঢাকার কাপ্তান বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে লিটন প্রধানীয়া নামে একজনকে আটক করে।
এ ব্যাপারে ওয়ারী থানার এস.আই শাহ্আলম জানান, আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানার চাঁদপুর সদর মডেল থানায় গৃহীত আছে। সে প্রেক্ষিতে মামলার বাদীকে সঙ্গে নিয়ে কাপ্তান বাজার এলাকায় মামলার পলাতক ৩নং আসামী লিটনকে আটক করতে সক্ষম হই। বাকিদের বিরুদ্ধে আটক অভিযান অব্যাহত রয়েছে।