শাহরিয়ার খান কৌশিক ॥
চাঁদপুর শহরে ঘোষপাড়ায় অহৃহিতা মহিলা কলেজ ছাত্রী ৪ দিনেও খোজ মেলেনী। চাঁদপুর মডেল থানায় অহৃহিতার বাবা হেলাল বাদী হয়ে মামলা দায়ের করার পরও পুলিশ এখনও মূল হোতা সাইদুল ইসলাম নিয়াদ (২০) কে গ্রেফতার করতে পারেনি। অহৃহিতা কলেজ ছাত্রী মোবাইল বন্ধ থাকার কারনে তার সাথে কোন ধরনের যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি। জানা যায়, গত ২৩ ডিসেম্বর দুপুর আড়ায়টায় এডভোকে সানজিদা আক্তারের মেয়ে বাসা থেকে বের হয়ে পরিসংখ্যানের শিক প্রফেসর পাড়ার হারুন স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়তে রওনা হলো হাসান আলী স্কুলের সামনে থেকে প্রাইভেট কার যোগে সাইদুল ইসলাম নিয়াদ তাকে তুলে নিয়ে যায়। এব্যাপারে এডভোকেট আক্তার বলেন ঘটনার দিন দুপুরে ঘোষপাড়ার শরীফ মালের বাসার ২য়তলার ভাড়াটিয়া সেকান্দরের ছেলে সাইদুল ইসলাম নিয়াদ তার ভাই তমাল ও ফুফাতো ভাই ন্নানুর সহযোগীতায় তার মেয়েকে প্রাইভেটক কার যোগে তুলে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। ঘটনার দিন রাতে সাইফুল ইসলাম নিয়াদের বাসায় গিয়ে খোজ খবর নিতে গেলে তার মা ও বোন ব্যাপক দূর ব্যবহার করেন। তারপরেও মেয়েকে উদ্ধার করার জন্য স্থানীয় ব্যক্তিবর্গদের হস্তপে কামনা করার পরেও কোন ধরনের সুফল পাওয়া যায়নি। অবশেষে চাঁদপুর মডেল থানায় ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করার পর পুলিশ অপহরনকারী ফুফাতো ভাই ন্নানুকে গ্রেফতার করে। অপহরনকারী সাইদুল ইসলাম নিয়াদের মূল বাড়ি শরীয়তপুরে। তারা দীর্ঘদিন যাবত চাঁদপুরে বাসা ভাড়া থেকে তার বড় ভাই তমাল কালিবাড়িতে ডিসের দোকানে চাকরী নেয়। দীর্ঘদিন যাবত সাইদুল ইসলাম তার মেয়েকে ইভটিজিং করে উতপ্ত্য করত। ঘটনার দিন তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে তার পরিবারের লোকজন গাঁ ঢাকা দিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অহৃহিতা কলেজ ছাত্রীকে ও অপহরনকারী সাইদুল ইসলাম নিয়াদকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। অতি দ্রুত অহৃহিতা কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে। এদিকে কলেজ ছাত্রীর ৪ দিনে খোজ না মেলার কারনে তার মা এডভোকেট সানজিদা আক্তার কান্না অন্তহারা হয়ে পড়েছেন।