শাহারিয়ার খান কৌশিক ॥
চাঁদপুর জেলাধীন হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী কাটাখাল মেঘনা নদীর পাড়ে মাছ ধরতে বাধা দেওয়ায় জেলেদের সাথে চর বৈরবী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় জেলেদের অর্তকিত হামলায় চরভৈরবী ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সভাপতি আহম্মদ আলী মাষ্টার সহ ১৫জন গুরুত্বর আহত হয়েছে। গুরুত্বর আহত অবস্থায় ৭ জন কে চাঁদপুর সরকারি জেনালের হাসপাতালেেেন ভর্তি করানো হয়েছে। নীলকমল নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আঃ রহমানের ইন্দ্রনে জেলেরা এই ভাবেই অর্কিতভাবে হামলা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় হাইমচর থানা পুলিশ ৩২জন জেলেকে আটক করেছে।
ঘটনার বিবরণে জানাযায়, গত শুক্রবার রাতে মৎস কর্মকর্তা ও হাইমচর থানা পুলিশ চরভৈরবী কাটাখাল এলাকা থেকে কয়েকজন জেলেকে আটক করেছে। এসময় ৬নং চরভৈরবী ইউনিয়নের সভাপতি আহম্মদ আলী মাষ্টার আটকৃত জেলেকে পুলিশের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নেয় এবং এলাকায় কোন মাছ ধরবে না বলে জানায়। শনিবার হাইমচর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নির্দেশে আওয়ামীলীগের সভাপতি আহম্মদ আলী মাষ্টার চরভৈরবী এলাকায় জেলেদেরকে নদীতে মাছ না ধরার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু নীলকলম পুলিশ ফাঁড়ির ইনাচার্জ আঃ রহমানের সহযোগীতায় আড়ৎদার ব্যবসায়ীরা রাতেই বেশ কয়েকটি গাড়ি বোঝাই করে ঝাটকা মাছ পাচার করে। এছাড়া শত শত জেলে নদীতে মাছ ধরে কাটাখাল রুহুল আমিন বেপারীর মাছের আড়ৎ সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় মাছ বিক্রি করার খবর শুনে আওয়ামীলীগের এই ত্যাগী নেতা আহম্মদ আলী মাষ্টারের নেতিত্বে যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মী সহ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের কে বাধা প্রদান করেন। কিন্তু চরভৈরবী এলাকার রুহুল আমিন বেপারী, বিল্লাল বেপারী, মানুইদ্দিন প্রধানিয়া, আদু মিয়া বেপারী, মনির প্রধানিয়া, কামরুল প্রধানিয়া, আবুল তালুকদার সহ তালুকদার বাড়ির মহিলা পুরুষ একত্রিত হয়ে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। তারা নদীতে থাকা জেলেদের সাথে নিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে ১৫ জন কে আহত করে। তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে চরভৈরবী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আহম্মদ আলী মাষ্টার ৬০ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ইলিয়াছ লিটন (৩৫), জয়েন্ট সেক্রেটারী মনির সরদার (৩৫), ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান (৪৫), যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান মাষ্টার (৩৫), যুবলীগের সিনিয়র সভাপতি মহিউদ্দিন মোল্লা (৩৮), স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল মাঝি (৪৮) কে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় চাঁদপুর সরকারি জেনালের হাসপাতালে এনে ভর্তি করানো হয়েছে। এছাড়া সৈয়দ আহম্মদ, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান চোকদার, ছাত্রলীগের সভাপতি পারভেজ হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক রনি ভূইয়া, যুবলীগের মনির সরদার, স্বেচ্ছাসেবক লীগের খোকা মাতাব্বর কে আহত অবস্থায় হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে। এসময় আহতরা জানায় প্রতিদিন নীলকমল নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জ আঃ রহমানের নেতিত্বে শত শত জেলে নদীতে ঝাটকা মাছ নিধন করে। এছাড়া তার পাহাড়ায় প্রতিদিন রাতে ৮ থেকে ১০টি ট্রাক ঝাটকা ইলিশ পাচার করা হয়। প্রতিদিন নৌ পুলিশের ইনচার্জ আঃ রহমান জেলে ও আড়ৎদার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে তাদের সহযোগীতা করে। ঘটনার দিন রাতে তার ইন্দ্রনে জেলারা ও আড়ৎদারা এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। এদিকে চরভৈরবী জেলে কাশেম তালুকদার, সেলিম গাজী, খোকন তালুকদার জানায়, লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর থেকে জেলেরা চরভৈরবী মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে আসলে তাদের ঝাল নিয়ে এলাকার যুবকরা চাঁদা চায়। তাদের কথা মত ১০ হাজার টাকা না দেওয়ায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে তারা রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের এনে ঘটনার সাথে জড়ায়।