রফিকুর ইসলাম বাবু ।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার অন্তত ৪০ গ্রামে ঈদুল আযহা উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়েছে। ঈদের প্রধান জামায়াত সমেসপুর ঈদগাঁ মাঠে পৌনে ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান জামায়াতে ইমাম ছিলেন মাওলানা জাকারিয়া আল মাদানী। বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা গেছে এমন সংবাদ পেয়ে এবং নিশ্চিত হয়ে সে হিসেব অনুযায়ী সাদ্রা দরবার শরীফের অনুসারীরা সব সময় রোজা ও ঈদসহ ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি করে থাকেন। তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি উদযাপনবের দিন-তারিখ বিশেষ করে আরব বিশ্বের সাথে মিল থাকে। ওসব গ্রামে ঈদের নামাজ শেষে কোরবানির পশু জবাই হয়েছে। ঈদের আনন্দ উপভোগে কোনো দিক দিয়ে তাদের কমতি ছিল না।জানা যায়, গত ৮৬বছর ধরে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে এসব গ্রামের মুসলমানরা ধর্মীয় বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরগা শরীফের বড় হুজুর মাওলানা আবু ইসহাক সর্বপ্রথম ১৯২৮সালে এ প্রথা চালু করেন। আবু ইসহাকের মৃত্যুর পর তার ৬ ছেলে এ নীতি প্রচার ও অনুসরণ করে আসছে। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় মুসলমানাদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও এর স্থায়ী কোনো সমাধান হয় নি।