স্টাফ রিপোর্টার ॥
অবৈধ উপায়ে প্রচারণা চালাচ্ছে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ মডেল কলেজ। গত দুই বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি-বিধান না মেনে প্রচারণা চালিয়ে আসছে। তবে এ ব্যাপারে গত ১৭ নভেম্বর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জাতীয় বিশ্ব বিদ্যালয় কর্তৃক অধিভুক্ত কলেজ / প্রতিষ্ঠনসমূহ স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর শিক্ষাকার্যক্রমে অধিভুক্ত প্রাপ্তির পর কলেজের নামের সাথে বিশ্ব বিদ্যালয় শব্দটি ব্যবহার করছে যা বিধি বর্হিভুত। কোন অবস্থাতেই কলেজের নামের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় শব্দটি ব্যবহার করা যাবে না। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ/ প্রতিষ্ঠান সমূহ যে নামে বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রথম অধিভুক্তি লাভ করেছে কলেজ/ প্রতিষ্ঠানসমূহকে কেবলমাত্র সেই নাম অথবা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত পরিবর্তিত নাম অনুযায়ী কলেজের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। এ বিষয়ে প্রয়েজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশিষ্ট কলেজ গভনিং বডিসহ সকলকে অনুরোধ করা হলো।
জাতীয় বিশ্ব বিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো. শামসুদ্দীন ইলিয়াস স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন ব্যতীত কলেজ/ প্রতিষ্ঠানের নতুন নামকরণ, সংশোধন ও বিয়োজন করা হলে অধিভুক্ত সংক্রান্ত সংশোধিত রেগুলেশন-২০১৫ এর ২৫ ধারা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কলেজ/ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে হাজীগঞ্জ মডেল কলেজ কর্তৃপক্ষের চতুরতায় কলেজের সকল প্রচারপত্রে ‘ইউনির্ভাসিটি’ লেখা থাকলেও বোর্ডের কাগজপত্রে ‘হাজীগঞ্জ মডেল কলেজ’-ই ব্যবহার করা হয়। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের ধোঁকা দিতেই এমন অতিরঞ্জিত প্রচারণা চালিয়ে আসছেন কলেজটি।
কলেজ অধ্যক্ষ ও উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আহবায়ক আলমগীর কবির পাটওয়রীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
তবে কলেজের একাডেমিক কার্যক্রমের দায়িত্বে থাকা আবুল ফারহা মুঠোফোনে বলেন, মাস্টার্স অনুমোদন পাওয়ার পর দেড় বছর ধরে ইউনির্ভাসিটি শব্দটি ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে জাতীয় বিশ্ব বিদ্যালয়ের জারি হওয়া প্রজ্ঞাপন কলেজে এসেছে বলে স্বীকার করেছেন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা মাধ্যামিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ আলী রেজা আশ্রাফী বলেন, এমন একটি প্রজ্ঞাপন দেখেছি। তবে এসব সম্পূর্ণ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রয়েছে। আমার কিছু করার নেই।
জানতে চাইলে হাজীগঞ্জ মডেল কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মো. মুর্শিদুল ইসলাম বলেন, কাগজপত্র না দেখে কোন বক্তব্য দিতে নারাজ। বিষয়টি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ভালো বলতে পারবেন।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আবদুস সবুর মন্ডল বলেন, অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হবে।