এস আলী॥ চাঁদপুর শহরের গুরুত্বপূর্ন ও অত্যান্ত ঝুকিপূর্ন এলাকা হিসেবে চিহিৃত শহরের বিভিন্ন স্থানের রেললাইনের উপর ও রেললাইনের পাশে অস্থায়ী ও স্থায়ী ভাবে আবারও অবৈধ ভাবে গড়ে উঠতে শুরু করেছে শত-শত দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এ অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কারনে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে ক্রেতাদের জীবন হারানোর সম্বাবনা লক্ষ্যকরছেন সচেতন মহল। বিগত দিনে শহরের বিভিন্ন স্থানে রেললাইনের পাশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠা থেকে ক্রেতা সাধারন বিভিন্ন মালামাল ও খাদ্য সামগ্রী ক্রয় করতে গিয়ে অসর্তকতার কারনে ট্রেনের নীচে পড়ে জীবন হারিয়েছেন বলে চাঁদপুর রেলওয়ে থানায় ডাইরী ভুক্ত করা রাখা আছে। আবার অনেকে ট্রেনের নীচে পড়ে হাত-পা” হারিয়ে এখন পঙ্গু হয়েগেছেন। অনেকে অর্থ থাকায় বাড়িতে বসে থেকে জীবিকা চালাচেছন। যাদের অর্থ নেই এমন অনেকে রাস্তার পাশে বসে ও হুইল চেয়ারের মাধ্যমে ঘুরে-ঘুরে ভিক্ষা করে জীবিকা অর্জন করতে দেখা যাচেছ। এ সব পঙ্গু হয়ে যাওয়া মানুষ গুলোর দিক চিন্তা করে রেললাইনের উপরে ও পাশে বসে ব্যবসা করা অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো উঠিয়ে দেওয়া একান্ত প্রয়োজন বলে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগী অনেক অভিভাবক ও সচেতন মহল। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রেলওয়ের কর্তৃপক্ষের দিকে না তাকিয়ে থেকে একটি মানবিক দিক বিবেচনা করে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসন,পুলিশ প্রশাসন ও পৌর মেয়রের প্রদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সুদৃস্টি কামনা করছেন চাঁদপুরের সচেতন শহরবাসী ।
শহরবাসীর আরো দাবী জানান, চট্রগ্রাম থেকে রেলওয়ে কর্মকতারা উচেছদ অভিযানে এসে এ সব অবৈধ দোকান পাঠ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচেছদ করতে পারলে চাঁদপুরের প্রশাসন এক হয়ে মানুষের জীবনের দিক বিবেচনা করে এ ব্যাপারে প্রদক্ষেপ নেওয়া আরো সহজ বলে তাদের ধারনা। এ ছাড়া পৌর পিতা হিসেবে এ কাজটি করা প্রথমে জার দায়িত্ব, তিনি হচেছন পৌর পিতা নাছির উদ্দিন আহমেদ। তিনি পিতা হিসেবে তার সন্তাদের ভাল-মন্ধের দিক চিন্তা করে রেললাইনের পাশে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা দোকান পাট,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসা-বাড়ি গুলো জনস্বার্থে উচেছদ করা একান্ত প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
খবর নিয়ে জানা যায়, চাঁদপুরে দীর্ঘ বহু বছর যাবত চলে আসছে সরকারী জায়গা দখলের মহাৎসব। যার ফলে শহরের যেখানে সেখানে গড়ে উঠছে শত-শত অবৈধ স্থাপনা দোকানপাট। এ সব অবৈধ স্থাপনা দেখার যেন কেউ নেই। এ সব অবৈধ দখল হচেছ বেশী শহরের রেলওয়ের জায়গায়। যে কেউ চাঁদপুর বা এর আশপাশ এলাকার চরাঞ্চল ও বিদেশ থেকে এসে এসব জায়গা চওড়া মূল্যে ক্রয় করছেন। এতে করে ভূমিদস্যুরা ও দিন দিন রেলওয়ের জায়গা দখলে মেতে উঠতে দেখা যাচেছ। চাঁদপুর ছোট শহর হলেও তার মধ্যে অবৈধ দখলদারদের
দৌরাত্বে শহরবাসী হয়ে উঠেছে অতিস্ট। যে কোন সময় শহরবাসী এ অতিস্ট হয়ে এক সময়ে আন্দোলনে ডাক দিলে শহরে ব্যাপক বিশৃংখলা দেখা দিবে। চাঁদপুর শহরের যে অবৈধ জায়গা অসাধু ব্যাক্তিদের দখলে রয়েছে তার মধ্যে বেশীর ভাগ জায়গা রয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের। শত-শত একর জায়গা,সরকারী অফিস ও বাসাবাড়ি পাবলিকের দখলে নিয়ে তারা ভোগদখর করে খাচেছ এবং দখল বিক্রি করে লাখ-লাখ টাকা হাতিয়ে নিচেছ। অনেকে শহরের বিশাল বিশাল বাড়ির মালিক হওয়া সত্বেও রেলওয়ের জায়গা দখল করে রেখে বাড়িঘর বানিয়ে ভাড়া দিয়ে প্রতিমাসে লাখ-লাখ টাকা হাতিয়ে হিচেছ ও নির্বাচন এলে ভোটের বানিজ্য করছে জনসংখ্যা দেখিয়ে। চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের চিতশী হতে শুরু করে চাঁদপুর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে রেলওয়ের জায়গা পাবলিকের দখলে রয়েছে। বিশেষ করে শহরের ওয়্যারলেছ মোড় বিশ^ রোড নামে পরিচিত স্থানে রেললাইনের ২ পাশে শত-শত পাকা ও অর্ধ পাকা দোকানপাট অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে। এ সব দোকান পাট বিক্রি করে ও দখল দিয়ে এক শ্রেনীর অসাধু ব্যক্তি লাখ-লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। গত ৩০ নভেম্বর ও ১১ ডিসেম্বর রেলওয়ের পক্ষ থেকে উচেছদ অভিযান করার কথা শুনে সে সব ব্যক্তিরা সরকার দলীয় নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে উচেছদ স্থগিত করে দেয় সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের ভুল বুঝিয়ে। এ ছাড়া শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক, মিশন রোড,ছায়াবানী মোড়, লেংটাবাড়ী এলাকা,কোর্ট স্টেশন এলাকা, বকুলতলা রোড,আক্কাছ আলী এলাকা ও বড় স্টেশন এলাকায় শত-শত দোকানপাট ও অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠে। দীর্ঘ বহু বছর পর এ সব অবৈধ স্থাপনা উচেছদে কথা শুনে অবৈধ দখলদাররা আতংকের মধ্যে ছিল। তারা তাদের অস্থায়ী স্থাপনা সরিয়ে নিয়ে যায়। উচেছদ অভিযান না করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ চলে যাওয়ার পর আবার হাজিগঞ্জ থেকে চাঁদপুর পর্যন্ত আবার দখল শুরু হয়ে গেছে। গত ১১ ডিসেম্বর উচেছদ স্থগিত হওয়ার পর দিন ১২ডিসেম্বর থেকে পুনরায় অবৈধ দখলদাররা দখল করতে শুরু করেছে। গত ৬দিনে আবারও প্রায় কয়েক শত দোকান পাট রেললাইনের ২ পাশে গড়ে উঠেছে। কোর্ট স্টেশন এলাকার এ সব দোকানে বিকেল থেকে শুরু করে সন্ধ্যার পর শুরু হয় ইয়াবা,ফিনসিডিল,গাজা জাতীয় মাদকসহ অবৈধ বিভিন্ন ব্যবসার আসর। যা চোঁখে না দেখলে কাউকে বুঝানো যাবেনা। উঠতি বয়সের যুবক-যুবতী ও স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা এখানে এসে তাদের বয়ফ্রেন্ডদের নিয়ে আড্ডায় মেতে উঠে। অনেক পতিতারা এখানে আসে স্কুল-কলেজের পোষাক পড়ে। তার পর এখান থেকে যুবকদের সাথে কন্ট্রাকের মাধ্যমে চলে যায় তাদের নিজস্ব আস্তানায়। চাঁদপুর কোর্ট স্টেশন ও তার আশপাশ এলাকার অবৈধ দোকান পাটে এখন এটি একটি নিত্যদিনের ব্যবসায় পরিনত হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সাথে কথা হলে তারা জানান,চাঁদপুর শহরের প্রতিটি ব্যবসায়ী সরকারকে সকল ধরনের ট্রেক্য-ভ্যাট ও পৌরসভাকে পৌর কর-হোল্ডিং ফি দিয়ে ব্যবসা করে প্রতিদিন হিমশীম খেতে হচেছ। আর অবৈধ ব্যবসায়ীরা কোন প্রকার টেক্য,ভ্যাট ও হোল্ডিং না দিয়ে ব্যবসা করে যুব সমাজরকে ধবংসের দিকে ধাবিত করে যাচেছ। এ ব্যাপারে সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষ জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহন করে চাঁদপুর বাসী অভিভাবকদের স্বস্তি তথা যুব সমাজকে ধবংশের হাত থেকে রক্ষা করা একান্ত জরুরী হয়ে পরেছে বলে সচেতন মহলের দাবী।