একদিনের রিপোর্টে নতুন রোগী ১২ জেলায় মোট আক্রান্ত ৬০

চাঁদপুর জেলায় কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে।
২/১দিন নেগেটিভ রিপোর্ট আসলেও পরের দিন তা পুষিয়ে দেয়া হয়। গত সোমবার ও
মঙ্গলবার ২৪টি রিপোর্ট আসে। সেখানে কোনো পজিটিভ রিপোর্ট ছিলো না। গতকাল
সেটি পুষিয়ে দেয়া হয়েছে। গতকাল একদিনের রিপোর্টেই ১২ জনের পজিটিভ রিপোর্ট
আসে। এই ১২ জনের মধ্যে ১১জনই চাঁদপুর শহরের। অপরজন মতলব উত্তর উপজেলার।
এদিকে আগের সংখ্যার সাথে নতুন করে আক্রান্ত ১২ জন যোগ হয়ে জেলায় এ পর্যন্ত
আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হলো ৬০ জন। এই ষাট জনের মধ্যে পুলিশ পরিবারের
সদস্য, স্বাস্থ্য কর্মী, প্রাইভেট প্যাথলজির ল্যাব টেকনিশিয়ান, বাবা-ছেলে,
মা-ছেলে, স্বামী-স্ত্রী, পূর্বে আক্রান্ত হওয়া স্বামী থেকে স্ত্রী এবং
স্ত্রী ও সন্তান রয়েছেন।
গতকালকের রিপোর্টে যাদের পজিটিভ রিপোর্ট আসে তাদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় হচ্ছে-
চাঁদপুর শহরের আদালতপাড়ার এক গৃহবধূ (৩৮) ও তার ছেলে (১২), (এই পরিবারের
অভিভাবক মডেল থানার এক এসআই আগেই আক্রান্ত হয়েছেন), চিত্রলেখা মোড় এলাকার
এক ব্যক্তি (৫৫) ও তার ছেলে (১৭), সিভিল সার্জন অফিসের এক কর্মচারী (৫৯),
বড়স্টেশন ক্লাব রোড এলাকার একজন (২৫), মিশন রোড এলাকার এক গৃহবধূ (২৫) (যার
স্বামী আগে আক্রান্ত হয়েছেন), সদর হাসপাতালের স্টাফ কোয়ার্টারের একজন
(১৬), বকুলতলা এলাকার একজন (৩০), মধ্য ইচলীর একজন (৩৮) ও চাঁদপুর ট্রাফিক
পুলিশের এক সদস্য (৫৯)। এদের মধ্যে চাঁদপুর শহরস্থ ঢাকা ডিজিটাল
ডায়াগনস্টিক সেন্টারের একজন ল্যাব টেকনিশিয়ান রয়েছেন। আর অপরজন হচ্ছেন মতলব
উত্তর উপজেলার কলাকান্দা ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা।
নতুন করে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যসহ চাঁদপুরে করোনায় আক্রান্ত পুলিশ সদস্যের সংখ্যা দাঁড়ালো ৯জন।
গতকাল বুধবার চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ১০১ জনের রিপোর্ট আসে। এর
মধ্যে ১২ জন পজিটিভ, ৮৯ জন নেগেটিভ। গতকাল পর্যন্ত চাঁদপুর জেলা থেকে
কোভিড-১৯ ভাইরাস পরীক্ষার জন্যে স্যাম্পল পাঠানো হয়েছে মোট ৯১৯ জনের। এর
মধ্যে গতকাল ছিলো ৫১ জনের। এসব স্যাম্পলের মধ্যে গতকাল পর্যন্ত রিপোর্ট
এসেছে ৮২১ জনের। রিপোর্ট অপেক্ষায় আছে ৯৮ জনের। ৮২১ জনের মধ্যে পজিটিভ
রিপোর্ট এসেছে ৬০ জনের। ৬০ জনের মধ্যে সদর উপজেলায়ই হচ্ছে ৩৭ জন। এ ৩৭ জনের
মধ্যে ৩২ জন চাঁদপুর পৌর এলাকার। বাদবাকি সংখ্যা অন্যান্য উপজেলার।
এদিকে আক্রান্তদের থেকে ১৪ জন ইতিমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। পূর্বে সুস্থ হওয়ার
তালিকায় ছিলো ১২ জন। গতকাল ফরিদগঞ্জের ইব্রাহিম এবং আঃ সাত্তার সুস্থ হন।
আর আক্রান্তদের মধ্য থেকে মারা যান চারজন।
এদিকে গতকাল চাঁদপুর শহরে যাদের আক্রান্ত হওয়ার রিপোর্ট এসেছে, তাদের
বাসা, বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লকডাউন করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সদর
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সাজেদা বেগম পলিন
লকডাউন করার কাজটি তদারকি করেন। এছাড়া নতুন করে স্যাম্পল কালেকশান করার
কাজটিও তিনি তত্ত্বাবধান করেন। একই সাথে আড়াই শ’ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর
জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ও করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত বিষয়ে ফোকালপার্সন ডাঃ
সুজাউদ্দৌলা রুবেলও স্যাম্পল কালেকশান এবং নতুন করে আক্রান্ত হওয়াদের বাসা
বাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লকডাউন করার কার্যক্রম তদারকি করেন। তিনি
আক্রান্ত হওয়াদের আইসোলেশনে ভর্তি করা হবে কি না সে বিষয়টিও তত্ত্বাবধান
করেন।