শাহরিয়ার খাঁন কৌশিক ॥ চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর কানুদী নদীর পাড় থেকে বস্তা ভর্তি গৃহবধু সুমি আক্তার (২৮) এর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয়দের সংবাদের ভিতিত্তে চাঁদপুর নৌ-পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোশাররফ হোসেন কানুদী লঞ্চ ঘাট সংলগ্ন ধইঞ্চা ক্ষেত থেকে সুমির মৃতদেহ উদ্ধার করে চাঁদপুরে নিয়ে আসে। সুমী মতলব পৌরসভার শোভনকর্দী গ্রামের বাবুল সরকারের ছেলে শাহাদাত হোসেনের স্ত্রী।
এই ঘটনায় মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশ সুমীর শ্বশুর বাবুল সরকার ও শ্বাশুড়ি মাহমুদা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। স্বামী শাহাদাত হোসেন পলাতক রয়েছে।
মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন জানান, মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুর উপজেলার হাটখোলা গ্রামের মেয়ে সুমির সাথে মতলব পৌরসভার শোভনকর্দী গ্রামের বাবুল সরকারের ছেলে শাহাদাত হোসেনের চার বছর আগে মুঠোফোনে পরিচয়ে সূত্রে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তারা ঢাকার কামরাঙ্গীচরে বসবাস করতো। ঈদে বাড়িতে বেড়াতে আসে তারা। কিন্তু ঈদের পরদিন ১৯ জুলাই সুমিকে নিয়ে শাহাদাত তাদের তিন বছরের কন্যা শিশুকে বাড়িতে রেখে নৌকা দিয়ে ঘুরতে যায়। ওই দিন থেকেই সুমি নিখোঁজ থাকায় পরিবার ও আশপাশের বাড়ির লোকদের মাঝে সন্দেহ বাড়তে থাকে। সুমির কথা জানতে চাইলে শাহদাত বলে, সে তার অসুস্থ বোনকে দেখতে গেছে।
এদিকে বিকালে চাঁদপুর সদর এলাকার কানুদী গ্রাম সংলগ্ন ধইঞ্চা ক্ষেতে একটি বস্তাবন্ধী লাশ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী নৌ-পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে বস্তা থেকে লাশ বের করে আনলে ওই এলাকার লোকজন লাশটির পরিচয় সনাক্ত করে। নিহতের শ্বশুর বাবুল সরকার জানান, ঈদের পরদিন ভোরে শাহাদাত তার স্ত্রীকে নিয়ে নৌকা দিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। শাহদাত ফিরে আসলেও সুমি আসেনি। শাহাদাতও নিখোঁজ রয়েছে।
চাঁদপুর নৌ-পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোশারফ হোসেন জানান, মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুকসহ ঘটনাস্থল থেকে সুমীর মৃতদেহ উদ্ধার করি। ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ মর্গে পাঠানো হবে।