স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুরে জামায়াতে ইসলামীর ডাকে দ্বিতীয় দফায় ৪৮ ঘন্টার হরতালের শেষ দিন সোমবার সর্বত্র শান্তিপূর্নভাবে পালিত হয়।
হরতালে চাঁদপুর থেকে দুরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ ছিল। তবে শহর ও শহরতলীতে স্বল্প সংখ্যক অটোবাইকসহ ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। শহরে স্বল্প সংখ্যক দোকানপাট খুললেও অধিকাংশ বন্ধ ছিল। অফিস আদালতে লোকের উপস্থিতি ছিলো কম। আইন শৃংখলা রায় চাঁদপুরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে মোতায়েন ছিল ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ ।
এদিকে হরতালের সমর্থনে শহরে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শহর জামায়াতের সেক্রেটারীর নেতৃত্বে মিছিল বের করে। মিছিলটি নতুন বাজার মোড় থেকে বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদণি করে সিএসডি গোডাউনের মোড়ে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। মিছিলে শহর ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারী মু. ইসমাইল খান সহ জামায়াত ও শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মিছিল শেষে সমাবেশে বক্তাগণ বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দকে হত্যা করার মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য অস্থির হয়ে পড়েছে। মিথ্যা, সাজানো বায়বীয় অভিযোগে মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে সরকার ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করে। সরকার মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে হত্যা করার জন্য মৃত্যুদন্ড দ্রুত কার্যকর করার পাঁয়তার করছে।
মিছিল ছাড়ার সকাল থেকে দফায় দফায় হরতালের সমর্থনে জামায়াত-শিবিরের নেতা কর্মীরা শহরের ষোলঘর,ওয়ারলেস,নতুনবাজার, বড়স্টেশন এলাকায় এবং চাঁদপুর-কুমিল্লা সড়ক,চাঁদপুর-রায়পুর সড়কের গাছতলা অঞ্চলে পিকেটিং করে।
এ ছাড়াও উপজেলার প্রতিনিধিদের তথ্য মতে, ফরিদগঞ্জ শহরের হাসপাতালরোডে হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল এবং হাজীগঞ্জ শহরে বাজারের পশ্চিম মাথায়, মনতলায় পিকেটিং করে জামায়াত-শিবির কর্মীরা, শাহরাস্তি উপজেলার দোয়াভাঙ্গা কুমিল্লা মহাসড়কে হরতালের সমর্থনে পিকেটিং করে জামায়াত-শিবির কর্মীরা।
শিরোনাম:
বৃহস্পতিবার , ২০ মার্চ, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৬ চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।