চাঁদপুর নিউজ রিপোর্ট
তীব্র শীতে মানুষ কাবু হয়ে যাচ্ছে। শৈত্য প্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। চাঁদপুরে একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা তিন ডিগ্রি কমেছে। চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের এক কর্মকর্তা বললেন, তাপমাত্রা আরো কমবে। শৈত্য প্রবাহ চলমান থেকে শীতকে তীব্র করে তুলছে। এই শীতে সব বয়সী মানুষই কাবু হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে সন্ধ্যা থেকে শীতের তীব্রতা বেড়ে যায়।
গতকাল ৮ জানুয়ারি সোমবার রাত ৯টায় চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসে যোগাযোগ করলে এর উচ্চমান পর্যবেক্ষক লিয়াকত আলী জানালেন, রাত সাড়ে ৮টায় সর্বশেষ পরিমাপে দেখা গেছে, চাঁদপুরে গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সর্বোচ্চ ছিলো ২০.০২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ৬ জানুয়ারি শনিবার সর্বনিম্ন ছিলো ১২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সর্বোচ্চ ছিলো ২৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মাঝখানে একদিনের ব্যবধানে চাঁদপুরে সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন দুটাই ৩ ডিগ্রি করে কমেছে। তাপমাত্রা এমন দ্রুত কমে যাওয়ায় শীতের তীব্রতাও খুব বাড়ছে। হিমেল বাতাস শীতকে আরো বাড়িয়ে তুলছে। সন্ধ্যার পর এই বাতাস শুরু হয়ে যায়। বাতাসই শীতকে খুব বাড়িয়ে দেয়। তখন বাসা-বাড়ি বা ঘর থেকে যেনো বের হওয়াই যায় না। পানি যেনো বরফ-ঠা-া হয়ে যায়। তীব্র এই শীতে শিশু এবং বয়োবৃদ্ধরা খুব কষ্ট পাচ্ছে। তারা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। শিশুরা নিউমোনিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
এই শীতকে মোকাবেলা করতে গরম কাপড়ের চাহিদা খুব বেড়ে যাচ্ছে। রাস্তার পাশে ফুটপাতে এবং বিভিন্ন মার্কেটে গরম কাপড়ের দোকানেই এখন ক্রেতাদের ভিড় বেশি দেখা যায়। কিন্তু শীতের তীব্রতা এমন বেড়ে যাচ্ছে যে, গমর কাপড়েও যেনো শীত নিবারণ হচ্ছে না। দিনের বেলা রোদ থাকায় শীত কিছুটা সহ্য করা গেলেও রাতে সহ্য করার মতো নয়। রাতে দেখা গেছে যে, মানুষ খড়-কুটা ও কাগজে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছে। আর খোলা আকাশের নিচে ছিন্নমূল মানুষগুলোকে জবুথবু হয়ে থাকতে দেখে গেছে। অনেকের গায়ে গরম কাপড় নেই। এ মুহূর্তে যেনো তাদের শীতবস্ত্রই প্রধান চাহিদা।