স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুরে নির্বাচন অফিস ও সার্ভার স্টেশন নির্মাণে স্থান নির্ধারণ করা হয় প্রাথমিকভাবে। জায়গার পরিমাণ ও স্থান সু-নির্দিষ্ট করা হলেও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের চিঠি ধামাচাপা দেওয়ায় ঐ স্থানে তড়িঘড়ি করে বহুতল ভবন নির্মানের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। জানা যায়, চাঁদপুরে গত ১০ মে চাঁদপুর সার্কিট হাউজে জনাকীর্ণ সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশনার মোঃ শাহনেওয়াজ নির্বাচন অফিস ও সার্ভার স্টেশন স্থাপনের উপর জোর দিয়ে জায়গা নির্ধারণের পরামর্শ দেন। ভূমি অধিগ্রহনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের উত্তর পার্শ্বে প্রাথমিকভাবে স্থান নির্ধারণ করে চিঠি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে চালাচালি করে। এরই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন চাঁদপুরে ঐ স্থানে ১৭ শতাংশ জায়গা অধিগ্রহণের জন্য চাঁদপুরের জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট চিঠি প্রেরণ করা হয়। সূত্রটি আরো জানায়, ঐ চিঠি অশুভ ইঙ্গিতে ফাইল বন্দি হয়ে পড়ে আছে। চিঠির কার্যকারিতা বন্ধ প্রসঙ্গে জেলা নির্বাচন অফিস আমাদের প্রতিনিধিকে জানায়, আমাদের কোন হাত নাই। ভূমি অধিগ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এর কার্যকারিতা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। কিন্তু দীর্ঘদিন হলো ভূমি অধিগ্রহন বিষয়ে কোন প্রকার কাজের অগ্রগতি হয়নি। সরজমিন দেখা যায়, প্রাথমিক নির্ধারিত ঐ স্থানে বহুতল ভবনের নির্মাণকাজ দিন-রাতে ২৪ ঘন্টা কাজ চলছে। তড়িঘড়ি করে এ কাজ চালু থাকায় সচেতন মহলের মাঝে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। সচেতনরা মনে করেন, ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গায় এভাবে ২৪ ঘন্টা কাজ চলার পেছনে নিশ্চইয় কোন অপরাধবোধ কাজ করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, ভূমির মালিক এবং ভূমি অধিগ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অশুভ লেনদেনের মাধ্যমে বহুতল ভবন নির্মাণ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ভবন নির্মাণ হয়ে গেলে ঐ স্থান আর ভূমি অধিগ্রহণ করা সম্ভব হবে না এরূপ ধারণা সচেতনদের। কিন্তু জনস্বার্থে এবং দেশের স্বার্থে জনগণের হয়রানি রোধে অত্যন্ত নিরাপদ স্থান হিসেবেই উক্ত স্থানটি পছন্দ হয়েছিল নির্বাচন কমিশনার মোঃ শাহনেওয়াজ এর। নির্বাচন অফিস ও সার্ভার স্টেশন স্থাপন না হওয়ায় সাধারণ জনগণের সুষ্ঠু ভোটাধিকার প্রয়োগে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে বলে নির্বাচন অফিস মন্তব্য করেছেন।
চাঁদপুর নিউজ সংবাদ