মিজানুর লিটন
দীর্ঘদিন থেকে এক সাথে দলীয় কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। এবারই প্রথম দেখা গেছে সেই দুই নেতার পৃথক গ্রুপিংয়ে দলীয় কর্মসূচি পালন।
গত ১৮ মে শহর ও থানা বিএনপির উদ্যোগে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়। এ কর্মসূচি পালনে প্রধান অতিথি করা হয় জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও সিনিয়র নেতা সফিউদ্দিন আহমেদকে। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক বলয়ের শহর, থানা বিএনপি, জেলা যুবদল ও ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ এ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন। এ কর্মসূচিতে জেলা বিএনপির বিদ্রোহী গ্রুপের কোনো নেতা-কর্মীই ছিলেন না। একদিন পর দেখা গেলো ভিন্ন চিত্র। ১৯ মে চাঁদপুর জেলা বিএনপির আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ কর্মসূচিতে জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিঃ মমিনুল হক উপস্থিত থেকে বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্ব দেন এবং সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। এখানে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল হামিদ মাস্টার, সাবেক এমপি রাশেদা বেগম হীরা, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা খান সফরী। ব্যতিক্রম উপস্থিতি ছিলো সাবেক পৌর চেয়ারম্যান সফিকুর রহমান ভূঁইয়া, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জসিমউদ্দিন খান বাবুল, কাজী গোলাম মোস্তফা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক, সদস্য সচিব, জেলা ছাত্রদলের এক নেতাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের। যারা জেলা বিএনপির বিদ্রোহী গ্রুপ হিসেবে পরিচিত। অনেক দিন থেকেই জেলা বিএনপির বিবদমান দুই গ্রুপের পৃথক গ্রুপিং অবস্থান দেখে আসছে শহরবাসী। এবারই নতুন বিতর্ক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহলের। তারা মনে করছেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে যে বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে তা দলীয় কর্মসূচি পালনে পৃথক অবস্থানেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। অনেকের মতে, শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানাতে বিদ্রোহী বলয় শক্তিশালী রূপ নিচ্ছে।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিঃ মমিনুল হক চাঁদপুর নিউজকে জানান, ৩ দিনের কর্মসূচি ছিলো কেন্দ্রীয়ভাবে। ১৮ মে জেলা হেড কোয়ার্টারে বিএনপির কর্মসূচি ছিলো না। ১৯ মে বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ নেতা-কর্মীদের মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এবং সারাদেশে গুম, খুনের প্রতিবাদে জেলা বিএনপির কর্মসূচি পূর্ব থেকেই নির্ধারিত ছিলো। এ কর্মসূচিতে যারা আসেননি তারা কী কারণে আসেননি তা তারা ভালো বলতে পারবেন। চাঁদপুর শহর বিএনপির সভাপতি অ্যাডঃ সলিম উল্যাহ সেলিম জানান, বিএনপি বড় দল। আমরা বিরোধী দলে। এখন গ্রুপিং বিবেচ্য বিষয় নয়। কর্মসূচি পালনে সবাই সক্রিয় ভূমিকা পালন করায় দলের শক্তি শাণিত হচ্ছে। এটিকে আলাদা করে দেখার কিছু নেই।