রফিকুল ইসলাম বাবু ॥
মাদকাসক্ত পাষন্ড স্বামী মোবারক হোসেন শেখ মাদকের টাকার জন্য হোসনেয়ারা বেগম (২৫) নামের স্ত্রীকে নির্মম ভাবে ইলেক্ট্রনিক গরম তাতাইল দিয়ে মুখে এবং হাতে ছেকা দিয়ে তাকে গুরুতর ভাবে আহত করেছেন। স্বামীর হাতে এমন অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে ওই গৃহবধূ বর্তমানে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাদীন রয়েছে।
বৃহস্পতিবার ৮ টায় চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষিপুর মডেল ইউনিয়নের কোটরাবাদ গ্রামের শেখ বাড়িতে এ অমানবিক ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার দিন রাতেই চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পাষন্ড স্বামী মোবারক শেখকে আটক করেন বলে জানান, থানার এস আই কামরুজ্জামান। আহত হোসনেয়ারা বেগম চাঁদপুর সদর উপজেলার পূর্ব রামদাসদী গ্রামের হালিম পাটওয়ারীর মেয়ে। আর মোবারক শেখ কোটরাবাদ গ্রামের রুহুল আমিন শেখের ছেলে। আহত হোসনেয়ারা বেগম জানায়, প্রায় ৭ বছর পূর্বে পারিবারিক ভাবে ১০ আনি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৫০ হাজার টাকা দেনমহরে তাদের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ৫ বছর বয়সী ১ ছেলে এবং দেড় বছর বয়সী ১ এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর সে জানতে পারেন মোবারক শেখ মাদক সেবন করেন। প্রায়ই তার স্বামী মাদকের টাকার জন্য তাকে অনেক মারধর করতো এবং বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার কথা বলতেন। ঘটনার কয়েকদিন আগেও মোবারক শেখ মাদকের জন্য তার কাছে ৮ হাজার টাকা চান। কিন্ত সে টাকা দিতে পারেনি। ঘটনারদিন সকালে তার স্বামী মোবারক শেখ নেশা জাতীয় ট্যাবলেট খেযে ঘুমিয়ে পড়েন। বিকেলে সে ঘুম থেকে উঠে বাহিরে বের হয়ে যায়। রাত ৮ টার দিকে হোসনেয়ারা বেগম তার সন্তানদের নিয়ে বিছানায় শুয়ে থাকলে মোবারক ঘরে গিয়ে ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী মেরামত করার তাতাইল বৈদ্যুতিক সংযোগ দিয়ে তা প্রচন্ড গরম করে হোসনেয়ারার গালে এবং বাম হাতে ছেকা দেন। এতে সে গুরুতর আহত হয়ে চিৎকার করলে পাশ্ববর্তী লোকজন বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করেন।এ ব্যাপারে চাঁদপুর মডেল থানার এস আই কামরুজ্জামান জানান, স্থানীয় লোকজন তার স্ত্রীকে নির্যাতনের বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে আমি সর্ঙ্গীয়ফোর্স নিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। এ ব্যাপারে তার পরিবারের লোকজন মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মামলা হলে তাতে আদালতে প্রেরণ করা হবে।