স্টাফ রিপোর্টার:
চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রেলপথে চলাচলকারী আন্তঃনগর মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনে চট্টগ্রাম অভিমুখী যাত্রীরা সীমাহীন ভোগান্তির মাঝে পড়তে হচ্ছে। এছাড়া বড় স্টেশন টিকেট কাউন্টারে মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট অধিক মূল্যে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। রাতে দক্ষিণাঞ্চল থেকে লঞ্চযোগে আসা চট্টগ্রামের যাত্রীদেরকে বোকা বানিয়ে আর মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে সিটবিহীন টিকেট ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আর এ টিকেট নিয়েই যাত্রীরা সিট নাম্বার না থাকায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে।
শহরের কোর্ট স্টেশন বুকিং কাউন্টার থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখী আন্তঃনগর মেঘনা এক্সপ্রেসের ‘ঠ’ বগির সুভন শ্রেণীর টিকেট যাত্রীদের দেয়া হয়। ‘ঠ’ বগিতে ৫৫টি টিকেট রয়েছে। এ বগিতে চট্টগ্রাম, লাকসাম, ফেনীর টিকেট রয়েছে। কিন্তু এ স্টেশনে ‘ঠ’ বগির যাত্রীরা চরমভাবে ভোগান্তির শিকার পোহাতে হয়। তার কারণ হলো, প্রায় সময় দেখা যায়, এ ‘ঠ’ বগিটি নির্দিষ্ট স্থানে থাকে না। এটি পূর্বে রেলওয়ে প্লাটফর্মের মাঝামাঝি থাকতো। ইদানিংকালে দেখা যায়, এটি ইঞ্জিনের পেছনে দেয়া হয়। ১৮ বগির ট্রেনটি টানের সাথে খালের রেলওয়ের ব্রিজ পার হয়ে যায়। আর তখন ওই ‘ঠ’ বগিটি ব্রিজের উপর চলে আসে। যাত্রীরা তাতে অনেক সময় উঠতে পারে না সন্তানাদি ও সাথে থাকা ব্যাগ-লাগেজ নিয়ে। অন্য বগিতে উঠে টিকেট প্রাপ্তরা নিজের টিকেট নাম্বার খুঁজে বের করতে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে। ভুক্তভোগী কয়েকজন যাত্রী জানান, কোর্ট স্টেশন বুকিং কাউন্টার থেকে যে বগির টিকেট দেয়া হয় সে বগিটি ব্রিজের উপর চলে যায়। তাতে করে আমরা ভোগান্তির মাঝে পড়তে হচ্ছে। বিষয়টি বড় স্টেশন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে অবগত করেও কোনো উত্তর পাইনি।
অন্যদিকে চাঁদপুর বড় স্টেশন রেলওয়ে কর্মকর্তা, জিআরপি রেল নিরাপত্তা এমনকি আনসার সদস্যরা নিজেরাই রাতের আঁধারে মেঘনা ট্রেনের টিকেট কালোবাজারিতে এখন বিক্রি করছে। যদি শর্ষের ভেতর ভূত থেকে যায় সেই ভূত দূর করবে কে এমনটাই বলছে অনেকে। চাঁদপুর বড় স্টেশন রেলওয়ে বুকিং কাউন্টার থেকে মেঘনা টিকেট কালোবাজারিদের হাতে তুলে না দেয়া হয় তাহলে ট্রেনে ভ্রমণকারী যাত্রীরা চরম ভোগান্তির হাত থেকে রক্ষা পাবে।