সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট: চাঁদপুরে সরকার ঘোষিত ৫মার্চ থেকে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউনের বিরুদ্বে প্রথম দিনেই দোকান বন্ধ রাখার সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে চাঁদপুরে বিক্ষোভ করেছে ব্যবসায়ীরা। দোকান খুলতে দেওয়ার দাবিতে আজ দুপুরের পর চাঁদপুর শহরের শপথ চত্বর ও মুক্তিযোদ্ধা সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেন হকার্স মার্কেটের প্রায় সাড়ে ৩শ’ ব্যবসায়ীসহ পাঁচ শতাধিক ব্যবসায়ীরা। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ২ঘন্টা রাস্তায় বিক্ষোভ করার পর তাদেরকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দিয়েছে।
এ বিক্ষোভের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। তিনি বলেন, ‘আমরা বিক্ষোভের কথা জানতে পেরে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে ম্যাজিস্ট্রেট পাঠিয়েছি। তারা যেন আর লকডাউন ভেঙে আন্দোলন করতে না পারে সে জন্যে ব্যবস্থা গ্রহন করা হচেছ।
চাঁদপুরে ‘লকডাউন মানি না’ শ্লোগানে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে স্থানীয় শত-শত ব্যবসায়ীরা।
সোমবার (৫ এপ্রিল) দুপুরের পর হঠাৎ এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন চাঁদপুর শহরের শপথ চত্বর এলাকার রেলওয়ে হকার্স মার্কেটের নির্ধারিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ৩ শতাধিক দোকান মালিক ব্যবসায়ীরা ও বিভিন্ন স্থানেরসহ প্রায় পাচঁ শতাধিক ব্যবসায়ীরা।
এ সময় বিক্ষোভ মিছিলে বিভিন্নস্থান থেকে আসা মার্কেট গুলোর সহস্রাধিক ব্যবসায়ী, দোকান মালিক ও কর্মচারীরা একত্রিত হয়ে শহরে এ বিক্ষোভ মিছিল বাহির করে।
মিছিলটিতে শ্লোগানের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা বলেন,স্বাস্থ্যবিধি মানবো, দোকান পাট খুলবো, লকডাউন মানি না এ শ্লোগান দিতে দেখা যায় বিক্ষোভকারী শত-শত ব্যবসায়ীদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ি জানান, করোনায় বিগত একটি বছর আমাদের বেচা বিক্রি মন্দা অবস্থার মধ্যদিয়ে অতিবাহিত হয়ে গেছে। সামনে পবিত্র মাহে রমজান ও ঈদুল ফিতর এসময় আমরা পুরোদমে বিক্রি করে থাকি। গত বছর দুই মাস টানা মার্কেট বন্ধ ছিল, এখন যখন ঈদ সন্নিকটে তখনই লকডাউন দিল সরকার। আমাদের এ ক্ষতির দায়ভার কে নিবে। তাই আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট খুলে ব্যবসা করতে চাই।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিক্ষোভ চলাকালে চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুর রশিদের সঙ্গে হকার্স মার্কেট নেতাদের সঙ্গে কয়েক দফা বাগবিতণ্ডা চলতে থাকে। শেষ পর্যন্ত পুলিশ অনড় থাকায় হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনুর অনুরোধে ব্যবসায়ীরা রাস্তা ছেড়ে মার্কেটের ভিতরে চলে যায়।
রেলওয়ে হকার্স মার্কেটের সাধারন সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, আমরা সরকারের দেওয়া লকডাউনের পক্ষে কিন্তু কে বা কারা ব্যাসায়ি ও কর্মচারিদের উস্কানি ভিন্ন প্রকারে জ্ঞান দিয়ে লকডাউনের বিপক্ষে মিছিল বাহির করিয়েছে, তা আমাদের জানা নেই।
এ বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবদুর রশিদ বলেন, আমি শহরের কালি বাড়িতেই সকাল থেকে অবস্থানরত রয়েছি। শাস্তিপূর্ণ ভাবে লকডাউন চলছে কিন্তু দুপুরের পর হঠাৎ করেই ব্যাসায়িদের একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে তাৎক্ষনিক আমরা সেখানে গিয়ে মিছিলটি বন্ধ করে দিতে সক্ষম হয়েছি।।