রফিকুল ইসলাম বাবু ঃ
পারিবারিক কলহের জের ধরে নিজ গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে ৩ তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পরে স্বপ্না (৩৫) নামে ২ সন্তানের জননী আত্মহত্যা করেছে বলে জানাযায়। স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গৃহবধু জয়তুনেছাস্বপ্না বেগম আত্মহত্যার পথ বেঁছে নিয়েছে বলে উপস্থিত লোকজনের মাঝে গুঞ্জন ছড়িয়ে পরে। আবার অনেকে বলাবলি করছেন গৃহবধু স্বপ্নাকে তার স্বামী মনির অনেক অত্যাচার করতো। তার অনত্র পরকিয়ার সম্পর্ক ছিল হয়তো। এসব নিয়ে তার স্ত্রী জয়তুনেছা স্বপ্না তাকে বাঁধা দিলে তার স্বামি তাকে মেরে গায়ে কেরোসিন ঢেলে তাকে ছাদ থেকে ফেলে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে বলে গুঞ্জন উঠে। ছাদ থেকে নিচে পরার পর নির্মম এ ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পাষন্ড স্বামী প্রশাসনের কাউকে না জানিয়ে পোষ্টমর্টেম ছাড়াই তরিঘরি করে অনেকটা গোপনে লাশ দাফন করার চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ থানায় নিয়ে আসে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নিহত গৃহবধু স্বপ্নার পাষন্ড স্বামী চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালের এম্বুল্যান্স চালক মনির হোসেন পলাতক রয়েছে। জানাযায়, চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালের এম্বুল্যান্স চালক মোঃ মনির হোসেনের সাথে শাহতলি পাটওয়ারী বাড়ীর স্বপ্নার বিয়ে হয় প্রায় ২১ বছর পূর্বে। তাদের বিবাহিত সংসারে ২টি সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে শহরের আলআমিন একাডেমী কলেজে ১ম বর্ষে এবং ছোট ছেলে গনি মডেল স্কুলে ৮ম শ্রেণীতে পড়ে। তারা বর্তমানে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালের উল্টোদিকে সরকারি কোয়ার্টারে বসবাস করতো। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে গৃহবধু স্বপ্না গায়ে আগুণ লাগিয়ে ৩ তলা ভবন কোয়ার্টারের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার খবর পেয়ে তার স্বামী মনির স্বপ্নাকে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসে। স্বপ্নার পুরো শরীর আগুনে জ্বলসে যাওয়ায় হাসপাতালে আনার সাথে সাথেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানাযায়। কিন্তু তার স্বামী মনির সরকারি হাসপাতালের এম্বুল্যান্স চালক হওয়ায় সে তাৎক্ষনিক নিহত স্বপ্নাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাবে বলে এম্বুল্যান্স যোগে নিজ বাড়ি বাসষ্টেন্ড এলাকায় নিয়ে যায়। নির্মম এ ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পাষন্ড স্বামী প্রশাসনের কাউকে না জানিয়ে পোষ্টমর্টেম ছাড়াই তরিঘরি করে অনেকটা গোপনে বাসষ্টেন্ডে কবরস্থানের এনে লাশ দাফন করার চেষ্টা চালায়। পরবর্তিতে স্থানীয় লোকজন লাশের জানাজার ব্যবস্থা করতে বলে। কিন্তু তাতে স্বামি মনির রাজি ছিলনা। খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানার এসআই ত্রিনাথ সাহা, অনুপ চক্রবর্তি, নুরসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের স্বজনদের সাথে আলাপ করার পর লাশ থানায় নিয়ে আসে। এবিষয়ে নিহত স্বপ্নার বড় ছেলে জানায়, আম্মু কি কারনে বাসার ছাদে গিয়ে গায়ে আগুণ লাগিয়ে ৩ তলা ভবন কোয়ার্টারের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার করে তা জানিনা। আমরা তখন ঘুমে ছিলাম। তবে এ মৃত্যর ঘটনাটি পুরো শহরজুড়ে ব্যবক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। কি কারনে সে এভাবে নির্মম মৃত্যুর পথ বেছে নিয়েছে তা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে উদঘাটন করে দোষিদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হোকে এমনটাই দাবি সচেতন মহলের।