শওকত আলী॥
চাঁদপুরে অত্যাধিক গরম, প্রচুর বৃস্টি পাত কারনে ও ভাবসা গরম হাওয়ার প্রেক্ষিতে শিশুরা মারাত্বক ভাবে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। যার কারনে চিকনগুনিয়া, ভাইরাল ফিভার,কাশি,নিমুনিয়া,কনর্ভানশান(খিচুনি)ও টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ৫ দিনে চাঁদপুর আড়াই’শ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ২ শ ১৯জন শিশু রোগী মারাত্বক অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে ৩৫ জন শিশু রোগী ছুটি নিয়ে চলে গেছে। এ হাসপাতালে চাঁদপুর জেলা ছাড়া ও রায়পুর, লক্ষীপুর ও শরীয়তপুর জেলা থেকে রোগী এসে ভর্তি হছেছ। ১৩ জুলাই দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে হাসপাতালে সেবীকাদের সাথে আলাপ কালে তারা জানান, ভাইরাল ফিভার,কাশি,নিমুনিয়া,কনর্ভানশান(খিচুনি) রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে শিশু রোগী বেডের চাইতে অনেক বেশী শিশু ভর্তি হওয়ায় তাদেরকে ফেøারে ও মেঝেতে চিকিৎসা দেওয়া হচেছ। এদের মধ্যে বেশীর ভাগ রোগী জ্বর, চিকনগুনিয়া,ও কনর্ভানশান(খিচুনিতে) আক্রান্ত হয়ে ভুগছে। এ হাসপাতালে শিশু রোগীর বেড রয়েছে ৫৬টি। কিন্তু রোগী রয়েছে ২১৯ জন। এদের বয়স ৬মাস,দেড়বছর,১বছর,৪বছর হতে ৮/১০ পর্যন্ত রয়েছে। এ শিশু রোগী ভর্তি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন,হাসপাতালে বৃহস্পতিবার দায়িত্বে থাকা সিনিয়ার সেবিকা ফেরদৌসী আক্তার। এ সময় রোগীর সাথে থাকা মায়েরা ও অভিভাবকরা অভিযোগ করে জানান,হাসপাতাল থেকে আক্রান্ত এ সব শিশু রোগীদেরকে প্রয়োজনীয় ঔষধ দেওয়া হচেছ না। তারা বাহির থেকে সব ঔষধ ক্রয় করতে হচেছ।
চাঁদপুর শহর, জেলার বিভিন্ন স্থান ও পাশর্^বতী রায়পুর,রামগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলা থেকে পর্যন্ত রোগীরা চাঁদপুর আসে চিকিৎসার জন্য।
হাসপাতালে কর্তব্যরত সেবীকারা জানান, প্রচন্ড গরম এবং বৃষ্টি হওয়ায় আবহওয়া দুর্যোগের কারনে বিভিন্ন বয়সী শিশুরা জ্বর, সর্দি, কাশি, বমি, পাতলা পায়খানাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ্য হওয়া এর প্রধান কারন। বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তৃতীয় তলার শিশু বিভাগে খবর নিয়ে জানাযায়, গত ৭/ ৮ জুলাই শনিবার দুপুর পর্যন্ত সর্বমোট ১৫ জন শিশু রোগী ভর্তি ছিল। হঠাৎ গত ৯ জুলাই ৬০ জন,১০ জুলাই ২৩জন ও ১১জুলাই মঙ্গলবার ১৯ জন শিশুসহ মোট ১১৭ জন ও গত বুধবার ১৫জন ও গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রার থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সর্বমোট ৬৭জন শিশু রোগী ভর্তি হয়েছে। শিশু রোগী জ্বর, সর্দি, বমি , পাতলা পায়খানা, নিউমিনিয়া কিংবা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়। দের মধ্যে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৩৫জন শিশু রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়ে হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে গেছে। এ ছাড়া অনেক শিশু রোগীকে অভিভাবকরা সামান্ন আক্রান্ত হওয়ায় হাসপাতালে এনে ডাক্তার দেখিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিয়ে বাড়ি চলে গেছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান।
চাঁদপুরসরকারী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর এম ও ) ডাঃ মো: আসিবুল আহসান চৌধুরী(আসিব)এর সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, এখন অত্যাধিক গরমের কারনে শিশুরা আক্রান্ত হচেছ। গরমের কারনে মায়েরা ফ্যানের বাতাস পাওয়ার জন্য বেশী জোরে ফ্যান চালান,যার ফলে শিশুর ঘাম শুকিয়ে বেশী আক্রান্ত হচেছ। এ ছাড়া খাবার দাওয়ার এখন অতি তারা তারি নস্ট হয়ে যায়। এ খাবার খেয়ে শিশুরা আক্রান্ত হয়। আগামী ১মাস পর শিশুদের এ রোগ কমে যাবে।
চাঁদপুর সদর হাসপাতালে প্রচুর ঔষধ সরবরাহ আছে। এ সব ঔষধ যেমন ইনজেকশান শিশুদের দিলে তড়িৎ রেজাল্ট পাওয়া যাবে। মায়েরা তা দিতে চায় না। আমাদের ও খারাপ লাগে শিশুকে ইনজেকশান পুশ করতে। যার ফলে বাহির থেকে ঔষধ ক্রয় করে আনে বিভিন্ন এনটি ভাইটিক,যা হাসপাতালে সরবরাহ নাই। আগামী দিন শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে খোজ খবর নিয়ে আরো তদারকি করবো ।্ কি ভাবে ভাল চিকিৎসা দেওয়া যায় ্