শরীফুল ইসলাম |
মানুষের মৌলিক মানবিক প্রয়োজনগুলোর মধ্যে স্বাস্থ্য একটি। একটি দেশের নাগরিকদের স্বাস্থ্য সেবার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে লক্ষ্যে চাঁদপুর ঝেলায় ৮ উপজেলায় ৮টি স্বাস্থ্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট একটি জেনারেল হাসপাতাল, ২০টি ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ১৪৬টি কমিউনিটি কিনিক চাঁদপুর জেলাবাসীর স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করছে। ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্নধার সিভিল সার্জন কার্যালয়। এ পর্যন্ত ১৪জন সিভিল সার্জন দায়িত্ব পালন করে গেছেন। এদিনে বেসরকারীভাবে ২৩টি হাসপাতাল ও ১৪৭টি ডায়াগনষ্টিক সেন্টার বা রোগ নির্ণয় কেন্দ্র রয়েছে। সরকারিভাবে জেলার সকল উপজেলা ও উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে ১৯৮টি ডাক্তারের পদ রয়েছে। গত ১০ জুলাই পর্যন্ত জেলার ১১৫জন ডাক্তার কর্মরত রয়েছে। বাকী ৭৯জন ডাক্তারী পদ শূন্য থাকায় জেলাবাসীর স্বাস্থ্য সেবা মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। একদিকে ডাক্তার শূন্য হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত ও অন্যদিকে খাদ্যে ভেজা ও ফরমালিন নামক নুতন আতঙ্ক যোগ হওয়ায় জেলাবাসী ভীসন উদ্বিগ্ন। দুর্বল স্যানিটেশন ব্যবস্থা, ড্রেনের অব্যবস্থা পরিবেশ দূষন, শব্দ দূষন ও জলবায়ু পরিবর্তনে শারীরিক সমস্যা, ডাইরিয়া প্রকপ প্রভৃতি বিষয়গুলো দিন দিন স্বাস্থ্যসেবার নতুন নতুন মাত্রা যোগ হচ্ছে। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপুর জেলার লোকসংখ্যা ২৫লাখ ৪৬হাজার ৭শ ৩০জন। জেলার ৮ উপজেলার কমপ্লেক্সগুলোতে ভ্যাট সংখ্যা ৩শ ৪৩ এবং ডাক্তারের শ্রেষ্ঠ পদের সংখ্যা ১শ ৯৮জন। বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন ১শ ১৫জন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রতি ২২ হাজার ১শ ৪৫জনের জন্য একজন ডাক্তার ও ৭ হাজার ৪শ ২৫জনের জন একটি করে ভ্যাট রয়েছে। যা জনসংখ্যা অনুপাতে নগণ্য। এসব চিত্র স্বাস্থ্য সেবার মান কতটুকু এবং কি অবস্থায় লছে তা সহজেই অনুমেয়। প্রাপ্ত তথ্য মতে চাঁদপুর সদরের লোকসংখ্যা ৩লাখ ৬৬ হাজার ৮শ জন। ৫০ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন উপ-কেন্দ্রগুলোতে ১৭জন ডাক্তারের মধ্যে কর্মরত রয়েছেন ৭জন। আর ১০জন ডাক্তারের পদ শুন্য রয়েছে। মতলব উত্তরের লোকসংখ্যা ৩লাখ ৮২ হাজার ৩শ ৯৫জন। ৩১ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন উপ-কেন্দ্রগুলোতে ২৪জন ডাক্তারের মধ্যে কর্মরত রয়েছেন ১৮জন। আর ৬জন ডাক্তারের পদ শুন্য রয়েছে। মতলব দক্ষিণ লোকসংখ্যা ২লাখ ৩৯ হাজার ৬শ ৪২জন। ৫০ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন উপ-কেন্দ্রগুলোতে ২৯জন ডাক্তারের মধ্যে কর্মরত রয়েছেন ২০জন। আর ৯জন ডাক্তারের পদ শুন্য রয়েছে। ফরিদগঞ্জ লোকসংখ্যা ৪লাখ ৭৫ হাজার ৭শ ৩৩জন। ৩১ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন উপ-কেন্দ্রগুলোতে ২৫জন ডাক্তারের মধ্যে কর্মরত রয়েছেন ১২জন। আর ১৩জন ডাক্তারের পদ শুন্য
রয়েছে। হাজীগঞ্জে লোকসংখ্যা ২লাখ ৮৫ হাজার ৩৭শ জন। ৫০ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন উপ-কেন্দ্রগুলোতে ৩২জন ডাক্তারের মধ্যে কর্মরত রয়েছেন ১৬জন। আর ১৬জন ডাক্তারের পদ শুন্য রয়েছে। হাইমচরে লোকসংখ্যা ১লাখ ৪১ জন। ৩১ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন উপ-কেন্দ্রগুলোতে ১৫জন ডাক্তারের মধ্যে কর্মরত রয়েছেন ৮জন। আর ৭জন ডাক্তারের পদ শুন্য রয়েছে। শাহরাস্তি লোকসংখ্যা ২লাখ ৫৯ হাজার ১৬শ জন। ৫০ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন উপ-কেন্দ্রগুলোতে ১৭জন ডাক্তারের মধ্যে কর্মরত রয়েছেন ১৭জনই। কচুয়া লোকসংখ্যা ৪লাখ ৩৬ হাজার ৮শ ৩২শ জন। ৫০ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন উপ-কেন্দ্রগুলোতে ৩৩জন ডাক্তারের মধ্যে কর্মরত রয়েছেন ১৩জন। আর ২০জন ডাক্তারের পদ শুন্য রয়েছে। স্বাস্থ্য সেবায় জেলা-উপজেলা ও উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে শুন্য থাকায় স্বাস্থ্য সেবা নাজুক পরিস্থিতিতে বিরাজ করছে।
শিরোনাম:
সোমবার , ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ২৮ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।