রফিকুল ইসলাম বাবু
চাঁদপুর শহরের বানিজ্যিক এলাকা পুরাণাবাজার ভাইভাই ক্লাবে প্রতি রাতেই চলে রমরমা জুয়ার আসর। শুধু তাই রাতভর লক্ষ লক্ষ টাকার জুয়া আর মাদক সেবনে মেতে উঠেন ওই এলাকার উঠতি বয়সের ব্যাবসায়ী ও বিভিন্ন স্থান থেকে আগত পেশাদার জুয়ারী এবং যুবক শ্রেণী। জেলা সরকার দলীয় বেশ ক’জন রাজনৈতিক নেতার নাম ভাঙিয়ে ক্লাবের দু’ব্যাক্তি তাদের এহেন কর্মকান্ড চালিয়ে গেলেও প্রশাসন অজ্ঞাত কোনো কারণে নিরব রয়েছে। যার ফলে এলাকা সচেতন মহলে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। ওই এলাকার সচেতন মহলের দাবি চাঁদপুর জেলা ঐতিহ্যবাহী ভাই ভাই স্পোাটং ক্লাবটি পুরাণবাজার মধুসুদন উচ্চ বিদ্যারয় মাঠে অবস্থিত। যে মাঠটি বানিজ্যিক ওই এলাকার সর্ব বৃহৎ ঈদগাহ্ মাঠও বটে। ক্লাবের সামনে পেছনে মসজিদ সহ রয়েছে বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ক্লাবের কর্মকর্তারা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন, সাংবাদকর্মীদের নাম ভাঙ্গিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জুয়ার আসর চালিয়ে যাচ্ছে। তারা ক্লাবের দেয়ালে দেয়ালে প্রশাসনের বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ছবি সাাঁটিয়ে রেখে রাত ভর জুয়া ও মাদক সেবন চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এ বিষয়ে ক্লাব সভাপতি ও সহ-সভাপতি সহ অনেক কর্মকর্তাকে কিছুই জানানো হয় না। এদিকে পুরাণবাজার পুলিশ ফাঁড়ির নাকের ডগায় জুয়ার আসর চললে ফাঁড়ির ইনচার্জ কোনো প্রকার আইনী ব্যাবস্থা না নেয়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে। বিষয়টি চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি বিষয়টি অবগত হলে তার নেতৃত্বে সোমবার গভির রাতে ক্লাবে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ১০ জুয়ারী আহত হয়। দীর্ঘদিন পর ক্লাবের পুলিশি অভিযান হওয়ায় প্রাশাসনকে সাধুবাদ জানিয়েছে ওই এলাকার শান্তিপ্রিয় সাধারণ মহল। এলাকাবাসীর দাবি একটি মহল ওই ক্লাবে আবারো জুয়ার আসর বসাতে নানান ভাবে পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে।
শিরোনাম:
শুক্রবার , ২০ জুন, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৬ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
চাঁদপুর নিউজ সংবাদ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।