স্টাফ রিপোর্টার: ॥
চাঁদপুর সদর উপজেলার ৯নং বালিয়া ইউনিয়নের সাপদী গ্রামে কলেজ ছাত্রী গৃহবধু রাহিমা আক্তার (১৯) কে হত্যা মামলায় পূর্ন ময়নাতদন্তের জন্য প্রায় ৩ মাস পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন করেছে ডিবি পুলিশ। দুপুর আড়াইটায় আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজেষ্টেট সদর এসি ল্যান্ড চৌধুরী আশ্রাফুল করীমের উপস্থিতিতে রাহিমার লাশ উত্তোলন করে।
রাহিমার লাশ কবর থেকে উত্তোলন করার পর চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে সেখান থেকে কুমিল্লায় পূর্ন ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। এসময় মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফিরোজ আলম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপস্থিত ছিলেন। জানা যায়, গত ৫ নভেম্বর যৌতকের দাবিতে রাহিমার স্বামী আনোয়ার রাতের আধাঁরে গভীর জঙ্গলে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। এই হত্যার অভিযোগে নিহত রহিমার বাবা আঃ হাই শেখ বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় গৃহবধুর স্বামী আনোয়ার পাটওয়ারীকে প্রধান আসামী সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। রাহিমার ময়নাতদন্ত রিপোটঁ আসামির পক্ষে আসায় লাশ পূর্ন ময়নাতদন্ত করার জন্য বাদি আদালতে আবেদন করে। সেই আবেদনের কারনে আদালত রাহিমার লাশ উত্তোলন করতে নির্বাহী ম্যাজেষ্টেট সদর এসি ল্যান্ড চৌধুরী আশ্রাফুল করীমের উপস্থিতিতে ডিবি পুলিশকে নির্দেশ দেয়।
গত কিছুদিন পূর্বে হত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে কলেজ ছাত্রী গৃহবধু রহিমা আক্তারের সহপাটিরা ছাত্র ছাত্রীরা ফরকাবাদ কলেজের সামনে মানববন্ধন করেছে।
বিক্ষুব্ধ জনতা ও মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারীরা হত্যাকারি আনোয়ারের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। মামলার প্রধান আসামিকে পুলিশ ঢাকা সাভার থেকে আটক করলেও অন্য আসামিরা এখনো পালাতক কয়েছে।
উল্লেখ্য, ৬ নবেম্বর শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ ওই গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ীর পাশের একটি বাগানের ছোট গাছ থেকে কলেজ ছাত্রী গৃহবধু রহিমা আক্তারের মৃতদেহ উদ্ধার করে। রহিমা আক্তার পাশ্ববর্তী বাগাদী ইউনিয়নের বড় শেখ বাড়ির আঃ হাই শেখের মেয়ে। সে ফরাক্কাবাদ ডিগ্রী কলেজের এইছ এস সি ২য় বর্ষের ছাত্রী। দেড় বছর আগে বালিয়া সাপদী গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ীর জলিল পাটওয়ারীর ছেলে আনোয়ার হোসেন পাটওয়ারীর সাথে তার বোনের বিয়ে হয়। বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে স্বামী আনোয়ারের পরকিয়া সম্পর্কে কথা জানতে পারলে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বাক-বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এছাড়া স্বামীর চাহিদামত যৌতক না দেওয়ায় দুটি ঘটনা নিয়ে রহিমা আক্তারকে শ্বাষরুদ্ধ করে হত্যা করে গছের সাথে ঝুলিয়ে রাখে।
শ্বশুর বাড়ি থেকে ৫শ’ গজ দূরে মোজাম্মেল হোসেন পাটওয়ারী বাড়ীর পাশে একটি গাছে ঝুলিন্ত অবস্থায় এলাকাবাসি দেখতে পায়। ঘটনার পর থেকে ওই বাড়ীর লোকজন পলাতক রয়েছে।