রফিকুল ইসলাম বাবু ॥
চাঁদপুর সদর উপজেলার মুন্সিরহাট নুরুল্লাপুর গ্রামে পরকিয়ার টানে এক গৃহবধু বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে আজ শুক্রবার ভোররাতে।
জানাযায়, নুরুল্লাপুর গ্রামের কাশেম হালদারের মেয়ে সীমা আক্তার ১৬ বেশ কিছুদিন পুর্বে ঢাকা গাজিপুরের সালনা এলাকার সফিকুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী স্ত্রীর মাঝে বাক বিতন্ডা চলে। সীমা আক্তার বিয়ের আগ থেকেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জনৈক যুবকের সাথে প্রেম হয়। এতে সীমার বাবা-মা প্রায় সময় বাঁধা দেয়। কিন্তু সীমা তা মানতো না। সে প্রেমের সুত্র ধরে ১৭ তারিখ রাতে সীমা তার মোবাইল থেকে ঐ বখাটে যুবকের সাথে প্রেমালাপ করতে গেলে সীমার বাবা-মা পুণারায় বাঁধা দেয়। কিন্তু সীমা তা না মান অভিমান করে নিজ ঘরে বিষপান করে। পরবর্তিতে তার আত্মচিতকারে তার বাবা-মা তাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। এ সময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিকসক সীমাকে মৃত বলে ঘোষনা করে। পরে আজ সকালে পুলিশ হাসপাতাল থেকে লাশ নিয়ে মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় সীমার মা জানান, আমার মেয়েকে কিছুদিন পূর্বে ঢাকা গাজীপুর শালনা এলাকায় সফিকুল ইসলামের কাছে বিয়ে দেই। সে স্বামির অগোচরে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ছেলেদের সাথে আলাপ করতো। এ জন্য তাকে আমি এবং আমার স্বামী তাকে প্রায় সময় বাঁধা দিতাম।
এ ঘটনায় স্থানীয় সচেতন মহলের অনেকে জানান, মেয়েটিকে অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ জন্য সীমার পরিপূর্ণতা আসেনি। তাই সে রাগে ক্ষোভে বিষপান করে।