শাহরিয়ার খাঁন কৌশিক ॥ চাঁদপুর সদর উপজেলার ৬নং মৈশাদী ইউনিয়নে এক গৃহবধুর মৃত্যু নিয়ে গুঞ্জন ছরিয়ে পরেছে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। স্বাভাবিক মৃত্যু না কি পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে, এমন গুঞ্জন এখন মৈশাদী ইউনিয়ের চারিদিকে ছড়িয়ে পরেছে। ঘটনার বিবরনে জানাযায়, মৈশাদী ইউনিয়নের উত্তর হামানকদ্দি গ্রামের আদুর খার স্কুল সংলগ্ন মৃধা বাড়ির আঃ রাজ্জাক মৃধার ছেলে ইটালী প্রবাসী জাকির হোসেন মৃধার সাথে ২০১১ সালে ১১ নভেম্বর মুসলিম শরিয়া মতাবেক ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১নং বালুথুবা ইউনিয়নের চান্দ্রা বাজার সংলগ্ন সকদী রামপুর গ্রামের হারুন অর রশিদের মেয়ে আসমাউল হোসনা (২৫) এর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আসমাউল হোসনা তার শ্বশুড় বাড়ির লোকজনের সাথে ঢাকায় তাদের ভাড়াটিয়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন। তাদের দাম্পত্য জীবনে রায়য়াত নামে আড়াই বছরের একটি শিশু সন্তান জন্ম নেয়। বিয়ের পর থেকে ১ রাতের জন্য ও আসমাউল হোসনা তার বাপের বাড়িতে থাকার ভাগ্য হয়নি শ্বশুর বাড়ির লোকদের চাপের কারনে। স্বামী জাকির মৃধা প্রবাসী হওয়ায় তারা তাকে নিয়মিত ভাবেই তাদের ঢাকার ভাড়াটিয়া বাসায় রাখে।
নিহত আসমাউল হোসনার পরিবার সূত্রে জানাযায়, আসমাউল হোসনার শ্বশুড় বাড়ির লোকজন তাদের মেয়ের অসুস্থ্যতার কথা এ ভাবে বর্ননা দেয়, মৃত্যুর ২ দিন আগে তার জ্বর হয়, তার জ্বর হলে পাশের দোকান থেকে জ্বরের ঔষুধ খাওয়ানো হয়, রাত ১২টার সময় তার প্রছন্ড বুমি হয়, বুমি হওয়ার কথা ডিসপেনসারিতে গিয়ে ডাক্তারকে বললে তিনি বুমির ঔষুধ দেয়, রাত ১টার দিকে গনগন বুমি করলে সে ডাক্তারকে ফোন করলে বার বার তাকে বুমির ঔষুধ খাওয়ানোর কথা বলে, এর মাঝে আসমাউল হোসনার গায়ে পছন্ড জ্বর উঠলে ২টি কম্বল দিয়ে ও তার গায়ের কামনী কমানো যায়নি। এরপর সকাল বেলায় শাহজানপুরে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নিয়ে যায়, সেখানে নেওয়ার পর ডাক্তার নাকি ঔষুধের ইনপেকশান হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন, সেখানে চিকিৎসারপর তার অবস্থা উন্নতি না দেখে সেখারকার ডাক্তাররা এ্যাপোলো হাসপাতালে প্রেরন করেন। এ্যাপোলো হাসপাতালে নেওয়ার পরে তার অবস্থা উন্নতি না দেখে আইসিউতে নিয়ে চিকিৎসা চালান, এরপর এ্যাপোলো হাসপাতালে গত ২২ জুলাই বেলা ১১টায় মৃত্যু বরন করেন। অসুস্থ্য হওয়ার ঘটনা এমন ভাবেই তার শ্বশুড় বাড়ির লোকজন নিশ্চিত করে বলেন। এরপর ২৩ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টায় তাদের গ্রামের বাড়িতে শ্বশুড় বাড়ির মা, ভাই, মামা, মামী কাউকে না দেখিয়ে শুধু নিহত আসমাউল হোসনার মানষিক প্রতিবন্ধী বাবাকে দেখিয়ে লাশ দাফন করেন। যে মা ১০ মাস ১০ দিন গর্ভে ধারন করে মেয়েকে বড় করে তুলেছেন, যে ভাই বোনের সাথে থেকে বড় হয়েছেন, সে মা, সে ভাইকে লাশ দেখানো জন্য বললে রাজ্জাক মৃধার পরিবার নানাহ ছল চাতুরি করে লাশ দাফন করে উল্টো যারা তাদেরকে লাশ দেখার জন্য বলেছেন, তাদেরকে অপমান করে তারা তারিয়ে দিয়েছেন। তাদের গৃহবধু ভাইরাস রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরন করেছেন বলে, এলাকায় সকলকে জানান। ২৩ জুলাই সকালে বাড়িতে লাশ আসার পর লাশ দাফনের সময় রাজ্জাক মৃধার পরিবারের লোকজনের হালচাল দেখে এলাকার সকলের মনে মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ জন্ম নেয়। লাশ দাফনের কিছুক্ষন পর রাজ্জাক মৃধার পরিবারের লোকজন আবার ঢাকায় চলে জান। এ সব দেখে সকলের মনে একটাই প্রশ্ন জাগে, হয়তো তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে ভাইরাস রোগে আক্রান্ত হয়ে মারাগেছেন বলেন চালিয়ে দেন। তাদের এক মাত্র ছেলে রাব্বিকে বিভিন্ন ভাবে মোবাইল ফোনে হুমকী দমকী দিয়ে আসছে, মৃত্যু নিয়ে কারো সাথে বেশি কথা বললে তার অবস্থা ভালো হবে না বলে শাশায়। এ নিয়ে নিহত আসমাউল হোসনার পরিবারের লোকজন চরম আতংকে রয়েছে। তাই শোকাতর পরিবারের এখন একটাই দাবী তাদের ছেলেকে যেন কোন প্রকার হয়রানি না করা হয়। তাদের মেয়ের লাশটি পুনঃরায় উঠিয়ে ময়না তদন্ত করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য উত্তর হামানকদ্দির মৃধা বাড়িতে গিয়ে রাজ্জাক মৃধা পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি
শিরোনাম:
বৃহস্পতিবার , ২২ মে, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৮ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
চাঁদপুর নিউজ সংবাদ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।