রফিকুল ইসলাম বাবু, : চাঁদপুর শহরের রহমতপুর কলোনীর ভূইয়া বাড়ির খুনি নয়নের ভাড়াটিয়ার ঘর থেকে বাগের হাটের প্রেমিক -প্রেমিকা আটক করেছেন মডেল থানার পুলিশ। গত বুধবার রাতে তাদেরকে আটক করা হয়। জানা যায়, বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানার আঠারোঘাতি গ্রামের হাবিবুশ শেখ হাবিবের মেয়ে ফারজানা আক্তার (১৫) বেশ কিছুদিন আগে চিটাগাং যাওয়ার উদ্দেশ্যে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে রিক্সাযোগে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে বড় স্টেশনের কবরস্থান রোডের বাসিন্দা বখাটে ফারুক তাদের রিক্সা গতিরোধ করে প্রেমের প্রস্তাব দেয় এবং তার কাছে কৌশলে মোবাইল নাম্বার নিয়ে নেয়। পরবর্তীতে ফারুক মোবাইলে ফারজানাকে প্রায় সময় জ্বালাতন করতো ও প্রেমের প্রস্তাব দিতো। একপর্যায় গত ২০ অক্টোবর রাতে ফারজানা আবারো চিটাগাং এর উদ্দেশ্যে লঞ্চঘাটে যাওয়ার পথে ফারুক তাকে গতিরোধ করে এবং তাকে একা পেয়ে কথা আছে বলে রহমতপুর কলোনী ভূইয়া বাড়ির খুনি নয়নের ভাড়াটিয়া মামুনের ঘরে উঠায়। দু’দিন ধরে ফারুক ফারজানাকে আটকিয়ে রাখে শ্লীলতাহানী করে। গতকাল ফারজানা ফারুককে বিয়ে করার প্রস্তাব দিলে ফারুক তা নাকচ করে দেয়। একপর্যায় ফারুক ফারজানার মাথায় হাত রেখে কিরা কসম কেটে ফারজানাকে বলে আমি তাকে বিবাহ করলাম। বৃহস্পতিবার আমরা কোর্টে বিবাহ করবো। ফারজানা এ কথায় ফারুককে বিশ্বাস করে সন্তুষ্ট থাকে। ফারুক এ সুযোগ ফারজানাকে আবারো শ্লীলতাহানী করার চেষ্টা করলে ফারজানা আত্মচিৎকারে বাড়ির আশপাশের লোকজন দৌড়ে এসে ফারুকের হাত থেকে ফারজানাকে উদ্ধার করে এবং ফারুক ও বন্ধু মামুনকে আটক করে। স্থানীয় এলাকার লোকজন চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এলাকাবাসী জানান, সম্প্রতি এই বাড়িতে একটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। সময়মতো মেয়েটির ডাকচিৎকার না আসলে হয়তো আরেকটি খুন হতো। আরো জানা যায়, ফারুক ও সহযোগি মামুন পূর্বেও বিভিন্ন মেয়েদের পটিয়ে এ বাড়িতে আনতো। এলাকাবাসী তা দেখলেও লোক লজ্জার ভয়ে চুপ থাকতো। তাই এলাকাবাসীর দাবী বখাটে ফারুক ও মামুনকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক। উল্লেখ্য, সম্প্রতিকালে এ বাড়িতে নয়নের ঘরে সমিতির লেনদেনের জের ধরে রহমতপুর কলোনীর প্রবাসীর স্ত্রী কোহিনুর বেগমকে জবাই করে হত্যা করে। বাড়ির মালিক নয়ন বেগম ও তার সহযোগি ধেন্ধা রফিক জেল হাজতে রয়েছে।
শিরোনাম:
শনিবার , ১৭ মে, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।