চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের ৪টি স্থানে বালু ব্যবসায়ীরা রেল লাইন সুরঙ্গ করে ড্রেজার পাইপ স্থাপন করেছে। এতে করে যে কোনো মুহুর্তে পাইপ দিয়ে বালি সরবরাহের সময় পাইপ ফেটে বড় ধরনের দুর্ঘটনা আশঙ্ক রয়েছে। এ ছাড়া এ পাইপ দিয়ে ড্রেজার চলা অবস্থায় যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের সময় ট্রেনের অধিক লোডের কারণে পাইপ বিষ্ফোরন ঘটে যাত্রীদের জীবনহানী আশঙ্কা বিরাজ করছে। অবৈধ ভাবে পাইপ স্থাপন করায় পর্যায়ক্রমে জিআরপি থানায় ৪টি মামলা হলেও এখন পর্যন্ত কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এতে করে সদ্য সংষ্কার করা রেলপথ দিন দিন ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে বালু ব্যবসায়ীরা। সরেজমিন শুক্রবার ঘুরে এবং রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে জানাগেছে, চাঁদপুর শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের পাশে রেলওয়ের ৫৬নং ব্রিজের পূর্ব পাশে, হাজীগঞ্জের বাকিলা রেলক্রসিং এর পশ্চিম পাশে কিলোমিটার ১৬৩নং এর নিকটে, ৫৪নং ব্রিজের নিকটে এবং হাজীগঞ্জ ও উয়ারুকের মধ্যবর্তী ৩৩নং ব্রিজের নিকটে ৪টি ড্রেজার পাইপ স্থাপন করে রেলপথ সুরঙ্গ করে বালু ব্যবসায়ীরা। এসব ড্রেজার ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পূর্বে ৩টি এবং সর্বশেষ বাকিলার ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে জিআরপি থানায় মামলা হয়। স্থানীয়রা জানায়, বাকিলার ড্রেজার পাইপটি স্থাপন করেছেন জনৈক আবুল বাসার এবং বঙ্গবন্ধু সড়কে পাইপ স্থাপন করেছেন জনৈক ব্যবসায়ী তুহিন। রেলওয়ের চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের (এসএসইপথ) লিয়াকত আলী জানান, এসব ড্রেজার পাইপগুলো স্থাপনের সংবাদ পাওয়ার পর থেকেই আমরা পর্যায়ক্রমে মামলা করেছি। জিআরপি থানা ও চাঁদপুর লাকসাম রেলপথের পুর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাহান শরীফ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথা। এসব পাইপ উচ্ছেদ করার জন্য আমাদের কাছে লোকবল চাইলে, আমরা লোকবল দিতে প্রস্তুত। এরপূর্বেও এই পথে বড় আকারে উচ্ছেদ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, স্থানীয়ভাবে খুঁজ নিয়ে জেনেছি যারা এসব ড্রেজার পাইপ স্থান করেছে, তারা প্রায় সকলেই ক্ষমতাসীন দলের লোক ও নেতাদের নাম বলছে। মূলত প্রভাব খাটিয়ে রেলপথের ক্ষতিকরে যাচ্ছে। চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের পূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাহান শরীফ জানান, ড্রেজার পাইপ স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ওই সকল কাগজপত্র আমি পেয়েছি। দাপ্তরিক নিয়ম মত আমি কাগজপত্র এসএসই কার্য রাম নারায়ন ধরের নিকট জমা দিয়ে অবগত করেছি। তিনিই ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, মামলা হওয়ার পরও আপনারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন না, তাহলে কি আপনার এসব ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কোন ধরনের সুবিধা গ্রহন করছেন, তিনি উত্তরে এসব বিষয়ে কিছুই জানিনা বলে জানান। সম্প্রতি চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথ রি-মডেলিং করে সংষ্কার করা হয়েছে। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে রেলপথ খুড়াখুড়ি। আর ঝুঁকিতে পড়ছে রেল যাতায়াত ও যাত্রীরা। রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ খুব দ্রুত উচ্ছেদ অভিযান না করলে বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বলে স্থানীয়রা তাদের মত প্রকাশ করেছে।
শিরোনাম:
সোমবার , ১২ মে, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ২৯ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।