রফিকুল ইসলাম বাবু।
দুইদিনের সন্ধান মিলেনি চাঁদপুরের হাইমচরের মেঘনা নদীতে ডুবে যাওয়া ট্রলারের। উদ্ধার কাজ করছে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশ। এদিকে নিখোঁজদের স্বজনরা এখনও তীরে বসে করছে লাশের অপেক্ষায় রয়েছেন। নিখোঁজ ব্যক্তিদের খুঁজে না হওয়া পর্যন্ত চলবে উদ্ধার তৎপরতা জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। চাঁদপুরের হাইমচর মাঝেরচর এলাকায় মেঘনা নদীতে যাত্রী নিয়ে ডুবে যাওয়া ট্রলারের সন্ধান পায়নি দুইদিনেও উদ্ধারকারী দল। একদিন পর উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট নৌবাহিনীর একটি বিশেষ দল। নিখোঁজদের ও ট্রলারের সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন হামইচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম সরোয়ার কামাল। চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন মাস্টার ইকবাল হোসেন জানান, নদী খর¯্রােতাসহ উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা নির্দিষ্ট করে স্থান বলতে না পারায় উদ্ধার কাজে বিলম্ব হচ্ছে। এদিকে নিখোঁজদের স্বজনরাও উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছেন। কেউ কেউ অপেক্ষা করছেন নদীর তীরে। অন্তত লাশ পাবার আশায়। শাহ ্আলম নামের স্বজনহারা জানান, আমার মেয়ে ও স্ত্রীকে এখনো খুঁজে পাচ্ছি না। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ অন্তত লাশ গুলো যেন দাফন করার সুযোগ আমি পাই। সময় যতই গড়াচ্ছে ট্রলারটি খোঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা ততই ক্ষীণ হচ্ছে। গত মঙ্গলবার সকালে চাঁদপুরের হাইমচরের তেলির মোড় থেকে ঈশানবালা চরের উদ্দেশ্যে রওনা করে মেঘনা নদীর মাঝ নদীতে তেলবাহী টেংকারের সাথে ধাক্কা খেয়ে ৫০জন যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় রবিন পরিবহন নামের ট্রলারটি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৯জন নিখোঁজের তালিকা করা হয়েছে। যাদের অধিকাংশই শিশু। ট্রলার এবং নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারে কোষ্টগার্ড, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এখন পর্যন্ত নিখোঁজ ৯জনের নাম সনাক্ত করতে পেরেছে প্রশাসন।