কচুয়া: কচুয়ার জগতপুর বাজারের ধান হাটায় একটি দ্বিতল ভবনে প্রতি রাতে জুয়াড়িদের হাট বসে। রাত ১০টা থেকে ভোর পর্যন্ত প্রায় ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার জুয়া ওয়ান টেন এবং চরচরি খেলা হয়। চাঁদপুর, কুমিল্লা, দাউদকান্দি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর এবং শরীয়তপুর অঞ্চলের কুখ্যাত জুয়াড়িরা এতে অংশ নেয়। চাঁদপুর পৌর ঈদগাহ মাঠের পশ্চিম-দক্ষিণ কোণায় মোহামেডান ক্লাবে এর আগে এ আসরটি বসতো। জুয়াড়িদের নেতা জনৈক আইয়ুব আলী এ জুয়ার আসরটি নিয়ন্ত্রণ করছে। তার অন্যতম সহযোগী চট্টগ্রামের পলাশ। সে চাঁদপুরের একটি আবাসিক হোটেলে থাকে বলে জানা গেছে। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করছে একটি রাজনৈতিক দলের নেতা শামীম, ইউসুফ, খলিল এবং হান্নান।
এলাকাবাসী জানান, প্রতি রাতে খেলা শুরু হলে বাজারের ধান হাটায় প্রায় ২০/২৫টি মাইক্রোবাস, সিএনজি স্কুটার, মোটর সাইকেল জমা হয়। জুয়ার সাথে একত্রে বসে জমজমাট মদের আসর। আয়োজকদের একজন শামীমের সাথে এ ব্যাপারে কথা হলে তিনি বলেন, আমি এটা পরিচালনা করি না। চাঁদপুর ও চট্টগ্রামের পার্টিরা স্থানীয় ইউসুফ, খলিল, হান্নানকে সাথে নিয়ে এটা পরিচালনা করে। এর বাইরেও অন্য একটি রাজনৈতিক দলের বেশ ক’জন জড়িত আছে। তার মতে, কচুয়া থানা পুলিশ বিষয়টি জানে। তাছাড়া সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার জন্যও এক নেতাকে দায়িত্ব দেয়া আছে। এতদ্সংক্রান্ত কোনো সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশ না করার জন্য তিনি বিনীত অনুরোধ করেন এবং তাদের সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
জগতপুর বাজারের জুয়ার আসর সম্পর্কে কচুয়া থানার ওসি মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার নলেজে আসার পর এটি বন্ধ করার জন্যে আয়োজকদের বলেছি। তারা আমাকে বন্ধ করে দেবার আশ্বাস দিয়েছে। এরপরও চালিয়ে থাকলে ঠিক করেনি। তবে আর যাতে না চলে সে ব্যাপারে পদৰেপ নেবো।
জুয়ার আসর সম্পর্কে বিখ্যাত জুয়াড়ি আইয়ুব আলী বলেন, খেলা শুরু হয়েছে মাত্র ৩/৪ দিন। এখনো জমে উঠেনি। পত্রিকায় বিষয়টি না লিখে তার সাথে যোগাযোগ রাখার পরামর্শ দেন।
এলাকাবাসীর দাবি, অবিলম্বে জগতপুর বাজারের জুয়ার আসর বন্ধ করা হোক। তারা বলেন, ব্যবসা কেন্দ্রে জুয়ার আসর তাদের জন্য হুমকিস্বরূপ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্থানীয় এমপি ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের কাছে তাদের প্রত্যাশা, তিনি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে জুয়ার আসরটি অবশ্যই বন্ধ করবেন।