বিনোদন প্রতিনিধিঃ-
চিত্রনায়িকা পপির বিয়ের খবর আবার চাউর হয়েছে। শীঘ্রই বিয়ের ঘোষণা দিয়ে দেশ ছাড়ছেন পপি। পাত্র সেই ডাক্তার গাজী মিজান। গত বছরের শেষদিকে বিবাহিত এই চিকিৎসককে ঘিরে তার প্রেম-বিয়ের খবর ডালপালা মেলেছিল। গণমাধ্যমে এ নিয়ে লেখালেখিও হয়েছে বিস্তর।
গাজী মিজানের বাড়ি খুলনায় পপির বাসার কাছাকাছি। তখনকার খবর অনুযায়ী দীর্ঘদিন ধরে উভয়ের মধ্যে মন দেওয়া-নেওয়া চলছিল। দুজনকে ঘনিষ্ঠভাবে একসঙ্গে বিভিন্ন স্থানে দেখা যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত গোপনে তারা বিয়ের কাজটিও সেরে নেয়। এ খবর মিডিয়ায় ফাঁস হলে পপি তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠেন। গাজী মিজানের সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আগামী পাঁচ বছরের আগে বিয়ে নিয়ে চিন্তা করতে চান না তিনি। কারণ একদিকে পরিবার অন্যদিকে অভিনয়, দুক্ষেত্রেই তার দায়িত্ব পালন শেষ হয়নি। হাতে বেশ কিছু চলচ্চিত্র ও নাটকের কাজ রয়েছে। এগুলো শেষ করা এবং ছোট তিন বোন ও এক ভাইয়ের পড়ালেখা শেষ হওয়ার পর তিনি বিয়ে করবেন। তবে গাজী মিজানকে নয়। কারণ বিবাহিত লোককে বিয়ে করার প্রশ্নই উঠে না তার। সবাইকে জানিয়ে পরিবারের পছন্দের পাত্রকে যথাসময়ে বিয়ে করবেন পপি।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেওয়া পপির এই বক্তব্যের প্রায় আট মাস কেটে গেছে। তার হাতে কোনো কাজ নেই। এরই মধ্যে ছোটবোন খেয়ালি ভালোবেসে বিয়ে করেছেন এক গার্মেন্ট ব্যবসায়ীকে। এই ব্যবসায়ীর সঙ্গেও পপির প্রেমের খবর রটেছিল। কানাঘুষা পূর্ণতা পাওয়ার আগেই খেয়ালি তাকে বিয়ে করে গুঞ্জনের অবসান ঘটান। বর্তমান খবর হলো দীর্ঘদিন ধরে পপি বেকার রয়েছেন। হাতে কোনো কাজ না থাকায় প্রায় সময় ঢাকা ছেড়ে খুলনার বাড়িতে চলে যান। সেখানে গাজী মিজানের সঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর মতোই নানা জায়গায় ঘুরে বেড়ান।
একটি সূত্র জানায়, গত বছরই বিবাহিত এই চিকিৎসককে গোপনে বিয়ে করেন পপি। পরে পপির কাছের লোকজনই তাদের বিয়ের খবর ফাঁস করে দেয়। মিডিয়াতে বিয়ের খবর ছড়িয়ে পড়লে পপি এ খবর অস্বীকার করে মিজানের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলতে থাকেন। কিন্তু গত প্রায় তিন মাস যাবত্ পপিকে একাধিকবার খুলনার বিভিন্ন স্থানে গাজী মিজানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে দেখার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় কয়েকটি সূত্র। শুধু খুলনায় নয়, ঢাকাতে পপির ইস্কাটনের বাসায় গাজী মিজান থাকেন বলেও সূত্রের দাবি।
শিরোনাম:
বৃহস্পতিবার , ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৩ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।