মতলব উত্তরের ডা. আসমা আত্মহনন মামলার পলাতক আসামীরা আদালতে হাজির হলে শ্বশুর-শ্বাশুরীসহ ৪ আসামীর জামিন না মঞ্জুর করে আদালতে প্রেরণের আদেশ প্রদান করে। মঙ্গলবার মতলব উত্তর থানার জিআর ৯/১৪ মামলার আসামী নিহত আসমার শ্বশুর মেজর (অব.) আবদুল মালেক গাজী, শ্বাশুরী শাহানারা বেগম, নিহত আসমার স্বামী মাহাদী মাসুদের পরকিয়া প্রেমিকা রাবেয়া রায়হান রীমা ও রাবেয়া রায়হান রীমার মা পারভীন চাঁদপুর আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে আদারতে প্রেরণের আদেশ প্রদান করে। এই মামলার প্রধান আসামী মাহাদি মাসুদ পলাতক রয়েছে। এ বছরের ১০ ফেব্রুয়ারী ডা. আসমা হত্যার এ মামলাটি রুজু করা হয়। ডা. আসমা সুলতানা ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের বড়হলদিয়া গ্রামের মো. আলমগীর মিয়ার মেয়ে।
কক্সবাজার পর্যটন এলাকার হোটেল কক্ষে ডাক্তার আসমা সুলতানা আত্মহনন করেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, ডা. আসমা সুলতানা ও মাসুদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত প্রেমের সম্পর্ক থাকায় পরিবারের অমতে ২০১০ সালের ১০ ডিসেম্বর তারা বিয়ে করেন। বিয়েতে পরিবারের মত না থাকার কারণে দীর্ঘদিন ধরে দুই পরিবারের মধ্যে নানা সমস্যা লেগেই থাকত। বাবা-মা’র স্নেহ ভালবাসা ত্যাগ করে নিজ পরিবার ছেড়ে স্বামী মাসুদের পরিবারকে আপন করে নেন আসমা। কিন্তু শত চেষ্টার পরেও আসমা আপন হতে পারেন নি তার স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও মাসুদের মামীর কাছে। প্রায়সময় উল্লিখিত লোকজনদের হাতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে তাকে। অব্যাহত নির্যাতনে বাধ্য হয়ে ৭ ফেব্রুয়ারি আসমাকে কক্সবাজার আসতে এবং যে হোটেলে হানিমুন হয়েছিলো সেই হোটেলে ওঠে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন আসমার পরিবারের লোকজন। আসমার আত্মীয়-স্বজন আরো জানান, আসমা ও মাসুদ স্বমী-স্ত্রী ছাড়াও তারা পরস্পর মামাতো ভাই ও ফুফাতো বোন।
আসমার বাবা আলমগীর মিয়া জানান, ডা. আসমা ঢাকা ইউনাইটেট হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিয়ের পর থেকে আসমাকে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও মাসুদের মামী কোনো ভাবেই সহ্য করতে পারেন নি। সবসময় নানাভাবে নির্যাতন করতেন। অপরদিকে আসমার স্বামী মামাতো বোন রাবেয়া রায়হান রীমার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিল। এ পরকিয়া প্রেমের কারনে তাদের পরিবারে অশান্তি ছিল।
তিনি আরো জানান, আসমা মৃত্যুর আগে যে চিরকুট লিখে গেছে তাতেও স্পষ্ট প্রমাণ মিলে কে কে আসমাকে নির্যাতন করতো। সুতারাং মামলার জন্য এটাই যথেষ্ট।
উল্লেখ্য, ৭ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৯ টায় বর্তমান ঢাকা খিলগাঁও এলাকার মো. আলমগীরের কন্যা ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আসমা সুলতানা (২৮) পর্যটন এলাকার কলাতলীর বীচ সিটি রিসোর্ট-এ ওঠেন। সেখানেই আত্মহত্যা করে।
শিরোনাম:
সোমবার , ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ২৮ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।