প্রাক্তন ছাত্র/ছাত্রী কর্তৃক আয়োজিত ১ম পুনর্মিলনী উৎসব ২০১৯ ইং এর প্রাক-প্রস্তুতি ও করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় স্মৃতি কাতর শতাধিক ঢাকাস্থ প্রাক্তনের উৎসব মূখর পদচারনায় ঐতিহাসিক রমনার আঙ্গিনা যেনো হাজার বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটালো।
খুইয়ে বসা সু-দূর সোনালী অতীত খুজতে অমলিন সাক্ষ্যাতের নিমিত্তে আজ যেনো আরেক নব ইতিহাস রচনা করলো মমরুজকান্দি সপ্তগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তনরা।
গতকাল উপস্থিত প্রায় সবার বক্তব্যেই নিগুঢ় মেলবন্ধন তৈরিতে পুনর্মিলনী কেমন হওয়া উচিত তার বিষদ বর্ননা ও নানান প্রস্তাবনা উঠে আসে।
১ম পুনর্মিলনীর আহ্বায়ক জনাব মোঃ বিএসসি শাহাদাত হোসেন এর পরিচালনা ও সোহেল রানা(২০০২) নাজমুল হক রিয়ান(২০০৩) এবং নিগার নাজনীন(২০০৯) এর সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান পৃষ্টপোষক, ভূমি দাতা ও পরপর নির্বাচিত বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জনাব হাজ্বী আবদুর রহিম পাঠান, সভাপতিত্ব করেন বর্তমান প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ খোরশেদ আলম। এছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে সিনিয়র শিক্ষক জনাব মোঃ সারোয়ার হোসেন(বিএসসি), জনাব মোঃ কামরুল ইসলাম(বিএসসি), জনাব মোঃ ওয়ালী উল্যাহ মাষ্টার, জনাব মোঃ সাইদুল ইসলাম, আঃ কাদের এবং আরও উপস্থিত ছিলেন বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জনাব মোঃ আলমগীর সরকার, জনাব মোঃ শাহ-আলম প্রধান ও জনাবা আকলিমা আকতার প্রমূখ।
অনুষ্টানের শুরুতেই ১ম পুনর্মিলনীর আহ্বায়ক বি এস সি মোঃ শাহাদাত হোসেন প্রাক্তন সকল স্থানীয় ও প্রবাসী ছাত্র/ছাত্রী, অবসরপ্রাপ্ত ও বর্তমান সকল শিক্ষক/শিক্ষিকা এবং ম্যানেজিংকমিটিরর সহায়তা চান।
প্রাক্তন ছাত্র/ছাত্রীদের মধ্যে মূল্যবান পরামর্শ ও বিভিন্ন প্রস্তাবনা তুলে ধরে নিজেদের মতামত দেন যথাক্রমে “শরীফুল ইসলাম(১৯৯৭), রাশেদ মিয়া(১৯৯৭), শামীম পাঠান(১৯৯৯), রোবায়েত হোসেন অঞ্জন(২০০০), সোহেল রানা(২০০২), মোঃইউসুফ (২০০২) আলী আজগর(২০০২), নাজমুল হক রিয়ান ২০০৩) নাজমুল হক তানভীর(২০০৪), তোফায়েল আহমেদ (২০০৪), মাসুম রাব্বানী(২০০৮), সাইফুল ইসলাম(২০০৮), নিগার নাজনীন(২০০৯), মাসুদ রানা (২০১২) মাহমুদুল হাসান রাফি(২০১৩), শরীফুল ইসলাম(২০১৪) প্রমুখ।
নান্দনিক ছান্দসিক গল্পকথক বিএসসি সারোয়ার হোসেন তার সংক্ষিপ্ত দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্যে বলেন এক জনের দায়ীত্বে সকলে কাজ করার মনোভাব থাকতে, কোনো বিদ্ধেষ নয় সহমর্মিতার হাত-হাতে রেখে কিভাবে এই পুনর্মিলনী আয়োজন সফল করা যায় তার পদ্ধতি খুজতে হবে, এছাড়া যে কোনো প্রয়োজনে নিজের সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করবেন বলেও জানান তিনি।
জনাব ওয়ালীউল্যাহ স্যার তার বক্তব্যে গতকালের এই সভাকে তার ২২ বছরের শিক্ষকতা জীবনের ফলাফলের সাথে তুলনা করে বলেন ” আজ পুর্ণতার নিঃশ্বাসে তৃপ্তির ডেকুর আসে মনে ও প্রাণে, আমার ছড়ানো শস্য আজ আমারি উঠোনে”।
এছাড়াও প্রাক্তনদের বিভিন্ন প্রস্তাবনার তাৎক্ষনিক প্রতিশ্রুতি ও জবাব দেন ১ম পুনর্মিলনীর আহ্বায়ক জনাব মোঃ শাহাদাত হোসেন।
এদিন ছাত্র ও শিক্ষকদের দীর্ঘ দিনের প্রাণের দাবী মমরুজকান্দি সপ্তগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা। এসময় তাৎক্ষনিক এক প্রতিউত্তরে যমুনা ব্যাংক কর্মকর্তা এসএসসি(২০০২) ব্যাচের শিক্ষার্থী নিজ তত্বাবধানে একটি কম্পিউটার ল্যাব স্থাপনের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষনা করেন।
এসএসসি ২০০২ ব্যাচের শিক্ষার্থী আলী-আজগর দারিদ্রতার কারনে মেধাবী হয়েও নিজের শিক্ষাজীবন থেকে ঝরে পরার করুন আত্মজীবনী তুলে ধরে আসছে পুনর্মিলনীর হাত ধরে বিদ্যালয়ে একটি কল্যানট্রাস্ট প্রতিষ্ঠার উপর জোর দেন, উক্ত প্রস্তাবনাটি প্রায় সকলের বক্তব্যেরই অংশ বিশেষ এবং এমন একটি ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠারও প্রতিশ্রুতি দেন আয়োজক বৃন্দ।
এছাড়া স্কুল আঙ্গিনায় একটি মসজিদ করার প্রস্তাবনা আসে প্রাক্তনদের পক্ষ থেকে, তা বাস্তবায়নেরও প্রতিশ্রুতি দেন সকলের সহায়তায়।
দূর নিলিমার দিগন্ত বিস্মৃত নিহারীকা পুঞ্জের ন্যয় ছড়িয়ে থাকা অত্র বিদ্যাপিঠের সকল প্রাক্তন যেনো হারানো জৌলুস খুজে পায় একটি দিনের জন্য, সেই আকুতিই আজ এ প্রান্তিক জনপদের আকাশে বাতাসে।
স্মৃতির পসরার একক অংশীদার আপনি আপনার স্মৃতি সংগ্রহের চুড়ান্ত দিনের অপেক্ষায় আসছে ডিসেম্বর ২০১৯, আপনি প্রস্তুত তো?