স্টাফ রিপোর্টার : একটি পরিত্যাক্ত পানির ট্যাঙ্কির জন্য মৃত্যুর ঝুঁকি মাথায় নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন রহমতপুর কলোনি কয়েকটি পরিবার।
চাঁদপুর পৌর এলাকার ১০ নং ওয়ার্ডের পৌর হোল্ডিং নং ১১৩৪ রহমতপুর কলোনীর বাসিন্দা পারভিন বেগমসহ কয়েকটি পরিবারের দিন কাঁটে এক ভয়ঙ্কর মৃত্যুর ঝুঁকি মাথায় নিয়ে। কারন তার বসত ঘরের চালার উপরেই সত্তর বছরের পুরনো জরাজীর্ণ নড়বড়ে পরিত্যক্ত এক পানির ট্যাঙ্কির অবস্থান। বর্তমানে এ পরিত্যক্ত পানির ট্যাঙ্কিটির চারটি পিলারেরই সিমেন্ট সূড়কির পলেস্তরা খসে পড়ে ভিতরের জং ধরা রড গুলো বেরিয়ে এসেছে। যার ফলে যে কোন সময় এ ট্যাঙ্কিটি ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা করছেন এ বসত ঘরের বাসিন্দা পারভিন বেগমসহ আশ পাশের স্থানীয় বাসিন্দারা। পারভিন বেগমের পাশের বাড়িটি মরহুম আঃ রশিদ খানের। যার হোল্ডিং নং ১১৩৩। সামনেই আছে নুর কটেজ যার হোল্ডিং নং ১১৩৯। এসব বাড়ির বাসিন্দাদের সকলেরই সেই একই ভয়।
সরেজমিনে গিয়ে পারভিন বেগমের সাথে কথা হলে তিনি জানান, দুটি ছোট সন্তান নিয়ে খুবই ভয়ের মধ্যে দিন কাঁটাচ্ছেন। কারন তার মাথার উপরেই তো মৃত্যু পরোয়ানা হিসেবে ঠায় দাড়িয়ে আছে পরিত্যক্ত জরাজীর্ণ নড়বড়ে এক বিশাল আকৃতির পানির ট্যাঙ্কি। তাছাড়া এটা ভেঙ্গে পড়লে যে শুধু তার পরিবারই ক্ষতিগ্রস্থ হবেন এমনটা নয়, আশ পাশের দু তিনটি পরিবারেরও ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে শতভাগ। তারাও সব সময় চিন্তার মধ্যে থাকেন যে, কখন জানি এ ট্যাঙ্কিটি আমাদের বসত বাড়ির উপর ভেঙ্গে পড়ে আমাদের জান মালের ক্ষতি হয়। তাদের এমন আশঙ্কা অমুলক নয়। কারন বর্তমানে এ পরিত্যক্ত ট্যাঙ্কিটির অবস্থা এমনই বেহাল দসা। এ পানির ট্যাঙ্কিটি এক সময় রহমতপুর কলোনীর বাসিন্দাদের ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছিলো। কিন্তু ১৯৮৮ ইং সালের পর থেকে এ ট্যাঙ্কিটি আর ব্যবহার করা হচ্ছে না। দীর্ঘ ৩২ বছর এর কার্যক্রম একেবারেই বন্ধ। এক কথায় এটি এখন পরিত্যক্ত। এই সুদীর্ঘ ৩২ বছর এভাবেই এটা পরিত্যক্ত অবস্থায় দাড়িয়ে আছে। তাই জনমনে প্রশ্ন এই অকার্যকর পানির ট্যাঙ্কিটি এখানে এভাবে ফেলে রাখার কি প্রয়োজন?
এ প্রসঙ্গে কথা হয় স্থানীয় বাসিন্দা বয়োবৃদ্ধ হাকিম, ফাতেমা বেগম, সোহেল রানাসহ আরো অনেকের সাথে। তারা এ ব্যাপারে সংশ্লীষ্ট বিভাগ এবং পৌর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন যে, তারা যেনো এ জরাজীর্ণ নড়বড়ে পরিত্যক্ত পানির ট্যাঙ্কিটি অনতিবিলম্বে ভেঙ্গে ফেলে তাদেরকে এ মৃত্যুর ঝুঁকির হাত থেকে রক্ষা করেন। রহমতপুর কলোনী বাসির আশঙ্কা এটা যদি অনতিবিলম্বে অপসারন করা না হয়, তবে যে কোন মুহুর্তে এ জরাজীর্ণ পানির ট্যাঙ্কিটি ভেঙ্গে পড়ে ঘটতে পারে মারাত্মক কোন প্রান ঘাতী দুর্ঘটনা। যা এ কলোনী বাসির কারোই কাম্য নয়। আর এমনটা ঘটলে সংশ্লীষ্ট কর্তৃপক্ষ তার দায় কোন অবস্থাতেই এড়াতে পারবেন না। তাই রহমতপুর কলোনীর বাসিন্দারা এ ব্যাপারে পৌর সভার সুযোগ্য মেয়র মহোদেয় সুদৃষ্টি কামনা করছেন যেন অচিরেই এই পরিত্যাক্ত পানির ট্যাংকটি এই স্থান থেকে অপসারণ করে মৃত্যুর হাত থেকে তাদেরকে রক্ষা করে।
সংবাদদাতা/চাঁদপুরনিউজ/এমএমএ/