প্রতিনিধি
চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার পশ্চিম শ্রীরামদী পুকুর পাড় চৌরাস্তা ও মধ্য শ্রীরামদী বউ বাজার সড়কে মাদক বিক্রি এবং মাদক সেবনকারীদের বেপরোয়া আনাগোনাকে কেন্দ্র করে এলাকার বিবদমান দুটি গ্রুপের মধ্যে প্রথমে উত্তেজনা থেকে পরে তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। গতকাল রাতে দু’গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
এলাকা সূত্রে জানা যায়, বউ বাজার ফজল বেপারীর বাড়িতে এবং বাবুলের দোকানের সামনে ইউনুছ মিজির মাদক বিক্রি নিয়ে ছৈয়াল বাড়ির চুন্নু খাঁসহ কিছু যুবকের সাথে বাগ্বিতণ্ডা হয়। আবার কেউ বলছে, সরকারি পুকুর পাড় চৌরাস্তায় গরমের মধ্যে গায়ে বাতাস লাগার জন্য দাঁড়িয়ে থাকায় কয়েকজনের সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে। এ নিয়ে গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় এক পক্ষ অপর পক্ষকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে। ছৈয়াল বাড়ি সড়কের চুন্নু খাঁ জানান, মাদক বিক্রিতে বাধা দেয়ায় ইউনুছসহ তাদের এলাকার লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার বসতবাড়িতে হামলা চালায়। অপর পক্ষ জানায়, মাদক বিক্রি নিয়ে ঝগড়া হয়নি। দুজনই বিএনপির মানিক গ্রুপ করায় তাদের মধ্যে নিজস্ব বিষয়ে বিরোধ চলছে। সে থেকে উভয়ের মধ্যে মারামারির পরিস্থিতি রূপ নিয়েছে। ইউনুছের দাবি, তাকে ও তার ভাগিনা আরিফকে প্রতিপক্ষ মারধর করেছে এবং তার বোনের ঘরে হামলা করা হয়। আহতাবস্থায় আরিফ চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। মারামারির খবর পেয়ে পুরাণবাজার পুলিশ ফাঁড়ির হাবিলদারসহ ক’জন পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়েছিলো। ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আবু সাঈদের সাথে এ ব্যাপারে কথা হলে তিনি দু গ্রুপের মধ্যে মারামারির বিষয়টি জানেন না বলে জানান। এ ঘটনার জের হিসেবে রাত আনুমানিক ১১টার দিকে বিবদমান ওই দুই গ্রুপ ধারালো অস্ত্র নিয়ে ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় অনেক ঘরবাড়ি ভাংচুর হয়। সংঘর্ষে হালিমা বেগম (৬০) নামে এক বৃদ্ধা গুরুতর আহত হন।
এদিকে পশ্চিম শ্রীরামদী ও মধ্য শ্রীরামদী এলাকার শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষ জানায়, দীর্ঘদিন থেকে এ এলাকার দুটি পরিবার মাদক বিক্রি করে এলাকার যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। স্থানীয় পুলিশ জেনেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ইদানিং এ এলাকায় মোটরসাইকেলের দৌরাত্ম্য বেড়ে গেছে। মাদক কেনার জন্য শহর থেকে এমনকি গ্রাম থেকেও এক শ্রেণির মাদকসেবীরা মোটরসাইকেল নিয়ে এলাকায় মাদক কেনার জন্য আসছে। সন্ধ্যার পর থেকে বউ বাজার-পুকুর পাড় রাস্তায় মাদকসেবীদের আনাগোনা বেড়ে যায়। বিষয়টি পুলিশ সুপারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকার সাধারণ জনগণ।