রফিকুল ইসলাম বাবু ঃ
চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার ৫ম শ্রেণিতে পড়–য়া কিশোরী বধু তৃতীয় স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (১৪) কে হত্যা করায় গৃহবধু মাহমুদা আক্তার চাঁদনীর সহপাঠীরা, এলাকাবাসী এবং বিদ্যালয় কতৃপক্ষ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে। তারা ঘাতক রুবেলের ফাঁসি দাবি জানিয়েছে। পুরাণবাজার আমিনুল হাক পৌর রেজিঃ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল মাহমুদা আক্তার চাঁদনী। বিদ্যালয়ে তার রোল নং ছিল ৩৫। সে দরিদ্র পরিবারের সন্তান হলেও প্রতিনিয়তই বিদ্যলয়ে আসা যাওয়া করতো। এর মধ্যে পাশর্^বর্তী পূূর্ব জাফরাবাদ এলকার দালার বাড়ির শফিক দালালেল ছেলে রুবেল দালার (৩০) পূর্বে দুই বিয়ে করে। স্কুলে আসা যাওয়ার পথে রুবেল দালাল মাহমুদা আক্তার চাঁদনীকে প্রেম নিবেদন করতো এবং তাকে উত্যাক্ত করতো। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে রুবেল দালাল কিশোরী মাহমুদাকে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে যায়। বেশ কিছু দিন তারা বিবাহ ছাড়াই সংসার জীবন করে। পরবর্তীতে রুবেল মাহমুদাকে বিয়ে করে। তখন মাহমুদা জানতে পারে তার স্বামী রুবেল দালালেল পূর্বে আরো দুইটি স্ত্রী রয়েছে। বিয়ের পর থেকে মাদক সেবনকারী রুবেল মাহমুদা আক্তার চাঁদনীর উপর কারণে অকারণেই নির্যাতন শুরু করে। ১২ আগস্ট রাতে রুবেল ও তার পরিবারের লোকজন মাহমুদাকে শারিরীকভাবে নির্যাতন করেছে বলে তার কিশোরী মাহমুদার পিতা মামুন রাঢ়ি জানান। তারা আরো জানান রুবেল ও তার পরিবারের লোকজন ঘটনার দিন রাত ১২ টায় মাহমুদাকে শারিরীকভাবে নির্যাতন করে হত্যা করে। নির্যাতনের পর রুবেল ও তার পরিবারের লোকজন অচেতন ভেবে মাহমুদাকে বাড়িতে রেখেই শরীরে তেল পানি মেখে সুস্থ করার চেষ্ট করা হয়। পরবর্তীতে হত্যার ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মাহমুদা আক্তার চাঁদনীকে ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে ঝুলিয়ে ফাঁসির নাটক সাজানো হয়। নিহতের পিতা মামুন রাঢ়ী জানান, আমার মেয়ে মাহমুদা ৫ম শ্রেণীতে পড়তো। স্কুলে যাওয়ার পথে রুবেল বিভিন্ন সময় উত্তক্ত্য করতো। ৪ মাস আগে প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে অবশেষে মাহমুদাকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই রুবেল মাহমুদাকে যৌতুকের টাকার জন্য প্রায়ই মারধর করতো। রোববার রাতে ইজি বাইক চালক রুবেল তার স্ত্রী মাহমুদাকে পিটিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখে। জানা যায়, রুবেল এর পূর্বে জাফরাবাদ ও লক্ষিপুরে আরো ২টি বিবাহ করে। নিহত মাহমুদা তার ৩য় স্ত্রী ছিলেন।