কচুয়া:
কচুয়ায় প্রতারণা করে অন্যের কাছে জমি বিক্রির চেষ্টাকালে নূরুল হক (৫৫) ও তার স্ত্রী আশ্রাফুল বেগম (৪৮)কে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। রোববার দুপুরে কচুয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার আইনগীরি গ্রামের অধিবাসী নূরুল হকের স্ত্রী আশ্রাফুল বেগম তার ভাইদের কাছ থেকে অংশীদারের ৩০ শতাংশ জমি একই উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের প্রবাসী আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী কামরুন্নাহারের নিকট ৫ লাখ টাকা দামে ৩ মাস পূর্বে বিক্রি করে। আশ্রাফুল বেগম জমি বিক্রির ৫ লাখ টাকা কামরুন্নাহার বেগমের কাছ থেকে বুঝে নিয়ে রেজিস্ট্রি করে দেই দিচ্ছি বলে কালক্ষেপণ করে। এক পর্যায়ে ওই সম্পত্তি আশ্রাফুল বেগমের ভাই জাহাঙ্গীর আলমের নিকট প্রতারণা করে পুনরায় ৬ লাখ টাকায় গতকাল রোববার বিক্রির উদ্দেশ্যে কচুয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রি করতে গেলে ক্রয় সূত্রে জমির মালিক কামরুন্নার বেগম টের পেয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে প্রতারক স্বামী-স্ত্রী নূরুল হক ও আশ্রাফুল বেগমকে আটক করে স্থানীয় ১১নং গোহট দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসে। পরে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আমির হোসেনের নেতৃত্বে একটি সালিস হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান আমির হোসেন জানান, কামরুন্নাহার বেগম জমি ক্রয়ের বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে। এ নিয়ে আগামী মঙ্গলবার দু’পক্ষের সালিস হওয়ার কথা ছিলো। এর পূর্বেই আশ্রাফুল বেগম ভাইদের কাছ থেকে পাওনাকৃত অংশীদারের জমি অপর ভাই জাহাঙ্গীরের কাছে বিক্রির পাঁয়তারা করে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আশ্রাফুল বেগম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কামরুন্নাহারের নিকট জমির মূল্য ৬ লাখ টাকা দাম করা হয়। কিন্তু তিনি ৫ লাখ টাকা দেয়ায় অন্যের কাছে জমি বিক্রির চেষ্টা করি।