ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নে রাজিয়া আক্তার (২০) নামে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্তমানে সে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর রাতে কোনো একসময় ওই ইউনিয়নের পশ্চিম চাঁদপুর গ্রামের আখন্দ বাড়িতে বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
গতকাল শুক্রবার ২৪ নভেম্বর বেলা ১১টার সময় বাড়ির লোকজন রাজিয়াকে উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্ এবং পরবর্তীতে দুপুর সোয়া ১২টায় চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
রাজিয়া আখন্দ বাড়ির দুলাল আখন্দের মেয়ে। আনুমানিক ৪ মাস পূর্বে তার স্বামীর সাথে বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। গত দুই বছর পূর্বে ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার ৬নং ওয়ার্ডের চরহোগলা গ্রামে জমির হোসেনের ছেলে মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন সাজ্জাদের সাথে রাজিয়ার বিয়ে হয়। সে ২০১৮ সালে চির্কাচাঁদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ও কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ জাকির হোসেন খান জানান, রাজিয়ার পরিবারের লোকজন তার বড় বোন অসুস্থ থাকায় নোয়াখালীতে ছিলেন। রাতে দুর্বৃত্তরা একা ঘরে তাকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে চলে যায়। বাড়ির লোকজন সকালে রাজিয়াদের বসতঘরের দরজা বন্ধ দেখে ঘরে গিয়ে তাকে রক্তাক্ত অবস্থা দেখতে পায়। বাড়ির লোকজনের কাছে রাজিয়া বলেছেন মুখোশধারী ক’জন তাকে হত্যার চেষ্টা করে।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মনিরুল আজিম জানান, রাজিয়ার হাতের একাধিক রগ কেটে গেছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারলো অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছে। আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।