ফরিদগঞ্জ ব্যুরো
গত ২৫ অক্টোবর ফরিদগঞ্জে পুলিশ-আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষের সময় ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাহেদ সরকারের উপর ১৮ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের হামলার ঘটনায় বিএনপির প্রায় আড়াই হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
যুবলীগ নেতা এমরান হোসেন মিলন বাদী হয়ে গত ১০ অক্টোবর ফরিদগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়েরের পর থানা পুলিশ এটিকে মামলা হিসেবে আমলে নেয়। এই মামলায় ৩৪০ জনকে সুনির্দিষ্ট এবং অজ্ঞাত ২০০০-২১০০ জনকে আসামী করা হয়। এ নিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সে দিনের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার সংখ্যা দাড়ালো পাঁচ-এ। প্রতিটি মামলায় জেলা বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সম্পাদক জয়নাল আবেদীনকে প্রধান আসামী করা হয়।
এছাড়া সে দিনের ঘটনায় নিহত তিন যুবদল নেতার মধ্যে দৰিণ বদরপুর গ্রামের যুবদল নেতা বাবুলের স্ত্রী রোকয়ো বেগম বাদী হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার চাঁদপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। এতে ৯৯জনকে সুনির্দিষ্ট এবং অজ্ঞাত ৩শ’-৪শ’ লোককে আসামী করা হয়। মামলায় ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী, সাধারণ সম্পাদক আবু সাহেদ সরকার, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মাসুদুল করিম ভূঁইয়া এবং বিএনপির সাবেক পৌর আহ্বায়ক ও ফরিদগঞ্জ পৌরসভায় মেয়র মঞ্জিল হোসেনের ছোট ভাই উপজেলা ছাত্রলীগের সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, ছাত্রদল নেতা ইমাম হোসেন এবং মেয়রের বড় ভাই আঃ রাজ্জাক রাজা, উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন শিপনকে আসামী করা হয়।