প্রতিনিধি
শুক্রবার বিকেলে ফরিদগঞ্জের সন্তোষপুর গ্রামের বৃদ্ধ আলী হোসেন গাজী (৬০) নিজ পুত্র শাকিলের বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ করতে থানায় আসলেও পরদিন শনিবার বিকেলে পুনরায় তিনি থানায় এসেছেন প্রাণহীন নিথর দেহে। বিষপানে বৃদ্ধ আলী হোসেন গাজীর মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছে। তবে তার দেহে কিছু আঘাতের চিহ্ন এবং পরনের লুঙ্গি ও পায়ে রক্তের অস্তিত্ব দেখে পুলিশের মনে সন্দেহের দানা বেঁধেছে। সন্তোষপুর গ্রামে গতকাল শনিবার সকালে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। যদিও মৃত আলী হোসেন গাজীর স্ত্রী মমতাজ বেগম (৫৫) ও পুত্রবধূ শেফালী বেগম (৩০) ঘটনাটিকে বিষ পানে মৃত্যুর কথা বলেছেন। এদিকে থানা পুলিশ নিহতের শরীরে কিছু চিহ্ন পেয়ে রহস্যজনক মৃত্যু বলে মনে হওয়ায় ময়না তদন্তের জন্যে তার লাশ সন্ধ্যায় চাঁদপুর প্রেরণ করেছে।
জানা গেছে, সন্তোষপুর গ্রামের বৃদ্ধ আলী হোসেন গাজী তার দ্বিতীয় পুত্র বিদেশ ফেরৎ ও বর্তমানে দিনমজুর হিসেবে কাজ করা শাকিলের বিরুদ্ধে তাকে মারধর করার অভিযোগ এনে কিছুদিন পুর্বে থানায় অভিযোগ করেন। থানা পুলিশ তার অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলেও ছেলে ওই সময়ে এলাকায় না থাকায় পুলিশ ফিরে আসে। আলী হোসেন গত শুক্রবার বিকেলে পুনরায় ফরিদগঞ্জ থানায় আসেন ছেলের বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ নিয়ে।
একটি সূত্র জানায়, আলী হোসেনের তিন ছেলের মধ্যে বর্তমানে বড় ছেলে আলমগীর ও ছোট ছেলে কাদির প্রবাসে থাকেন। মেজো ছেলে শাকিল বিদেশ থেকে ফিরে এলাকায় দিনমজুরী করে বসবাস করছেন। এই ছেলে ও তার স্ত্রী রুমার সাথে বৃদ্ধ আলী হোসেনের প্রায়শই ঝগড়া হতো। ছেলে বাবাকে প্রায়ই মারধর করতো। এ কারণে তিনি অতিষ্ঠ হয়ে থানায় অভিযোগ করেন। আলী হোসেনের স্ত্রী মমতাজ বেগম জানান, তার স্বামীকে সকালে তিনি ঘরেই অবস্থান করতে দেখেন। হঠাৎ করে তিনি বিষ খেয়েছেন বলে নাতনি চিৎকার দিলে তারা গিয়ে তাকে ছটফট করতে দেখেন। একই কথা বলেন বড় ছেলে আলমগীরের স্ত্রী শেফালী বেগম। তারাও জানান, আলী হোসেনের সাথে ছেলে শাকিল ও তার স্ত্রী রুমার প্রায়ই ঝগড়া হতো।