ফরিদগঞ্জের ৯নং গোবিন্দপুর ইউনিয়নের মধ্য চাঁদপুর গ্রামে ছেলের বৌ কর্তৃক শ্বশুর-শাশুড়ি নির্যাতনের খবর পাওয়া গেছে। হাসপাতালে ছেলের বৌ শাহনাজকে দেখতে গিয়ে তার আত্মীয়-স্বজন দ্বারা ২বার মারধরের শিকার হয়েছেন বৃদ্ধ পিতা-মাতা। এ নিয়ে এলাকাতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, গত ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার বিকেলে চাঁদপুর গ্রামের মিজি বাড়ির বাচ্চু মিজির (৬৫) ছেলে রিপন এবং তার স্ত্রী শাহানাজের ঝগড়া মেটাতে তাদের রুমে ছুটে যায় বৃদ্ধ বাবা এবং মা ফজিলুতুননেছা (৫০)। তাদের মারামারি মেটাতে গিয়ে উল্টো বৌয়ের হাতে নির্যাতনের শিকার হন বৃদ্ধ পিতা-মাতা। এ সময় ছেলের বৌ শাহনাজ শ্বশুর-শাশুড়ি দুজনকেই শারীরিক আঘাত করে তাদের পোশাক ছিঁড়ে ফেলে। শাহনাজ পূর্ব থেকেই হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলো। মারামারি করতে গিয়ে হঠাৎ করে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে চাঁদপর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বৃদ্ধ বাচ্চু মিজি এ প্রতিনিধিকে জানান, অসুস্থ ছেলের বৌকে দেখতে গিয়ে শাহনাজের বোন সীমা ও ভাবী পাখি আমাদেরকে গলায় টিপে ধরে অনেক মারধর করে। এক পর্যায়ে গলা ধাক্কা দিয়ে রুম থেকে বের করে দেয়। কিছুক্ষণ পর হাসপাতালের বাহিরে একা পেয়ে শাহনাজের চাচা বিল্লাল হোসেন ও তার ভাই রাজু মিলে আমাদেরকে আবারো মারধোর করে এবং শরীরের জামা কাপড় ছিঁড়ে ফেলে। এ অবস্থায় আমরা বাড়িতে চলে আসি। মারধরের কারণে রাতে শারীরিক অবস্থা ক্রমশ খারাপ হতে থাকে এবং এক পর্যায়ে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। আমাদের অবস্থা খারাপ দেখে ছোট ছেলে শিফাত ফরিদগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দেয়।
বৃদ্ধা মা ফজিলেতুননেছা সাংবাদিকদের বলেন, বাবা-রে স্বামী-স্ত্রী ঝগড়া করেছে। আমরা গেছি মিটিয়ে দিতে। উল্টো আমাদেরকে মারলো। তোমরাই বলো বাবা-আমাদের দোষ কী ছিলো?
ওই বাড়ির দেলোয়ারা বেগম, সাজিদা বেগম ও নাহার বেগম বলেন, তাদের স্বামী স্ত্রীর ঝগড়া দেখে আমরা ছুটে যাই। আমাদের সাথে তার শ্বশুর-শাশুড়িও দেখতে যায়। সবাই তাদের ঝগড়া মেটাতে চেষ্টা করি। এক পর্যায়ে শাহনাজ তার শ্বশুর-শাশুড়িকে শারীরিক আঘাত করে, দাঁড়ি ধরে টানাটানি করে এবং পাঞ্জাবি, বস্নাউজ ছিঁড়ে ফেলে। তাদের সাথে আমাদেরকেও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।