প্রতিনিধি
সিএনজি অটোরিকসার মালিক না হয়েও স্বঘোষিত মালিক সমিতির নামে ফরিদগঞ্জে চলছে দেদারছে চাঁদাবাজি। আর এসব চাঁদার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেই মালিকদের বিভিন্নভাবে হয়ারানি করার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। ভুয়া মালিকদের চাঁদার টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে সিএনজি অটোরিকসার যাত্রীদেরই মাসুল দিতে হচ্ছে।
ভুক্তভোগীরা জানায়, ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন শ’ শ’ সিএনজি অটোরিকসা চলাচল করছে। প্রত্যেক সিএনজি থেকে মালিক সমিতির নামে ৫/১০ টাকা হারে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। এ ছাড়াও নুতন কোন সিএনজি চলাচল করতে হলে-এর মালিককে ৪/৫ হাজার টাকা ভর্তি ফি হিসেবে দিতে হচ্ছে মালিকবিহীন মালিক সমিতির নেতাদের হাতে। ভর্তি ফি না দিলে সিএনজির মালিককে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিএনজি অটোরিকসার ১১ সদস্যের মালিক সমিতির নামে রসিদ ছাড়াই চলছে চাঁদাবাজি। ওই ১১ সদস্যের মধ্যে অনেকরই নেই কোনো মালিকানার বৈধ কাগজপত্র। ক্ষমতার প্রভাবেই তারা এসব বেআইনিভাবে চাঁদাবাজি করে আসছে। আদায়কৃত চাঁদার টাকা প্রতিদিন সন্ধ্যায় আবার ভাগাভাগি হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন পকেটে।
এ চাঁদাবাজি নিয়ে কথা বলতে গেলে পুলিশের সোজাসাপটা জবাব হচ্ছে বিষয়টি তাদের জানা নেই। তবে কেউ এ বিষয়ে অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বেআইনীভাবে আদায় করা এসব চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে এলাকার এমপি ড. শামছুল হক ভূঁইয়ার জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছে। নচেৎ যে হারে চাঁদাবাজি চলছে এতে করে দল ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।