মাত্র কয়েক বছর পূর্বে জরাজীর্ণ ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরাতন ভবনের সংস্কার কাজ করলেও রংয়ের ফাঁক গলিয়ে ধীরে ধীরে পূর্বের সেই দুরবস্থার চিত্র ফুটে উঠছে। হাসপাতালের আরএমও ডাঃ তানভীর জানান, মাত্র কিছুদিন পূর্বে হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডের ১৪নং কেবিনের উপরের ছাদের ভিমের একটি অংশ ভেঙ্গে পড়ে। ভাগ্যিস ওই সময়ে নামাজ পড়তে সংশ্লিষ্ট বেডের রোগী বাইরে গিয়েছিলেন। একই অবস্থা মহিলা ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন অংশে।
গত শনিবার দুপুরে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবকাঠামোগত দুরবস্থার চিত্র নিজে ঘুরে ঘুরে দেখেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. মোঃ শামছুল হক ভূইয়া। এটিকে ঝুঁকিপূর্ণ আখ্যায়িত করলেন তিনি। এ সময় স্থানীয় লোকজন এটিকে বিপদজ্জনক আখ্যায়িত করে জানান, বিগত সরকারের আমলে ৫০ বছরের অধিক সময় পূর্বে নির্মিত এ ভবনটির স্থলে আধূুনিক ভবন নির্মাণ না করে কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কারের নামে সরকারি অর্থের অপচয় করা হয়েছে। ফলে সংস্কারের কিছু দিনের মধ্যেই আবারো এটিতে ফাটল দেখা দেয়। কিছুদিন পর পরই ভবনের বিভিন্ন স্থানে পলেস্তরা খসে পড়ে। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা ব্যক্ত করে তারা জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুতলয়ে এটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে স্বাস্থ্যসেবার মান নিশ্চিত করতে নতুন ভবন নির্মাণ প্রয়োজন। হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির কয়েকজন সদস্য জানান, পুরাতন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির স্থলে নতুন ভবন নির্মিত হলে এবং হাসপাতালের প্রয়োজনীয় টেকনিশিয়ান আসলে, অ্যাম্বুলেন্সটি সচল ও জনস্বার্থে ব্যবহার করতে পারলে উপজেলার ৫ লাখ মানুষের সেবার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, সংসদ সদস্যের প্রচেষ্টায় নতুন ২৪জন চিকিৎসক উপজেলায় যোগদান করায় পুরাতন মিলিয়ে বর্তমানে ৩৪জন চিকিৎসক রয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছাড়াও উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে উপজেলায় স্বাস্থ্য সেবা আরো বৃদ্ধি পাবে। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোজাম্মেল হক জানান, হাসপাতাল ব্যবস্থাপানা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ পুরাতন ভবনের স্থলে নতুন একটি আধুনিক ভবন নির্মাণ করার লক্ষ্যে এমপি সাহেবের ডিও লেটার সম্বলিত একটি আবেদন অতিদ্রুত স্বাস্থ্য মন্ত্রীর বরাবর প্রদান করা হবে।