চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ উপজেলা ১৬ নং রুপসা ইউনিয়নের গাব্দেরগাও গ্রামে প্রবাসীর স্ত্রীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার সকালে সৌদি প্রবাসী মাইনুদ্দিন এর বাড়ি থেকে তার স্ত্রী শারমিন আক্তার (২০) এর লাশ উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ।
প্রবাসীর স্ত্রীর মৃতদেহ ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
গৃহবধূ শারমিন আক্তারের হত্যার ঘটনায় বিচারের দাবিতে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করেন।
গৃহবধূর শশুর দেলোয়ার হোসেন, শাশুড়ি রেনু বেগম ও ননদ মরজিনা প্রায় সময় অত্যাচার ও নির্যাতন করতো তারা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে বলে অভিযোগ করেন গৃহবধূর স্বজনরা।
চার বছর পূর্বে ১৬ নং রুপসা ইউনিয়নের চরমঘুয়া গ্রামের মোহাম্মদ মানিককের মেয়ে শারমিন আক্তারকে পাশের গ্রামের মাইনুদ্দিন প্রেম করে পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করে।
এই বিয়ের বিষয়টি তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন মানতে না পেরে বিয়ের পর থেকে শ্বশুর-শাশুড়ি প্রায় সময় গৃহবধূ শারমিন আক্তারকে মারধর করতো।
শারমিন আক্তারের তিন বছরের মাহি এক কন্যা শিশু রয়েছে। সন্তানের কথা চিন্তা করে সামাজিকভাবে বেশ কয়েকবার সালিশী বৈঠক হলেও নির্যাতনের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলে।
নিহত শারমিন আক্তারের বাবা মানিক ও পরিবারের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন,স্বামী বিদেশ যাওয়ার পর তার শশুর শাশুড়ি ননদ প্রায় সময় শারমিন আক্তারকে মারধর করতো। ঘটনার দিন রাতে তাকে বেদম মারধর করে ও গলা টিপে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখে।আমরা এই পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এদিকে হত্যাকারীদের বাঁচাতে এলাকার কিছু দালাল চক্র ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিয়ে চেষ্টা করে।
এ ঘটনায় হলিক্রস থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হলেও হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরর প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।
চাঁদপুরনিউজ/এমএমএ/