শাহারিয়ার খান কৌশিক ॥
চাঁদপুরে বিয়ের প্রলোবন দেখিয়ে দুই যুবতীকে মোবাইলে ফুসলিয়ে রাতের আধারে নির্জন বাগানে নিয়ে জোর পূর্বক গণধর্ষন করার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনার পরেই ধর্ষনকারীরা তাদের ঘরবাড়ী ছেড়ে এলাকাথেকে পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। ধর্ষণকারীদের মধ্যে সিএনজি চালক ছামেদ ও সোহেল সহ দুই লম্পটকে ধরে এনে উত্তম মধ্যম দেয়ার পর এলাকার দালাল চক্রদের সহযোগীতায় করে ছেড়ে দেয়ার খবর পাওয়া যায়। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার রাতে চাঁদপুর শাহ-মোহাম্মদপুর ও আশিকাটি ইউনিয়নের শেষ বর্ডার মতলব দক্ষিন ২২নং দক্ষিন উপাধি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড দক্ষিন বাখরা গ্রামের মাল ও প্রধানিয়া বাড়ির পিছনের বাগানে। গণ ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য উপাধি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তফা প্রধানিয়া সহ একদল দালালচক্র চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে এলাকাবাাসি জানিয়েছেন। গতকাল রবিবার সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহ মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের মৃত ইদ্রিছ ফরাজীর বিবাহীত মেয়ে ও তার ব্ন্ধুবী বাবুরহাটের জনৈক এক যুবতীকে ২২নং দক্ষিন উপাধি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড দক্ষিন বাখরা গ্রামের লম্পট কয়েকজন যুবক মোবাইলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। পরে তারা দুই যুবতীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের খালার সাথে কথা বলার জন্য আসতে বলে। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় বাবুরহাটের ঐ যুবতী তার বান্ধবী মৃত ইদ্রিছ ফরাজী মেয়ের কাছে আসে। ওই লম্পটদের কথা মতো অসহায় ঐ দুই যুবতী গোসেরহাট হয়ে দক্ষিন বাখরা ঐ গ্রামের দিকে রওনা হয়। এসময় উল্লাহ গাজীর ছেলে সোহেল গাজী (৩৫) তার সহযোগী রফিক প্রধানিয়ার ছেলে ছিদ্দিক প্রধানিয়া (৩২) সলেমান প্রধানিয়ার ছেলে সোহেল প্রধানিয়া (২৭) কামাল মালের ছেলে কবির মাল (২৭),রঞ্জব আলীর ছেলে সেলিম প্রধানিয়া (৪০), মুসলিম মালের ছেলে মৈইফুল মাল (৩১) ও রফিক প্রধানিয়ার ছেলে শরিফ প্রধানিয়া (২৫) ঐ দুই যুবতীকে নির্জন বাগানে নিয়ে বেদম মারধর করে মেরে ফেলার হুমকী দিয়ে তাদেরকে জোর পূর্বক গণধর্ষণ করেন। তাতেও ক্ষেন্ত না হয়ে লম্পটরা যুবতী দুজনের ব্যবহিত দুটি মোবাইল সেট, কানের স্বর্ণের জিনিস ও সাথে থাকা টাকা ছিনিয়ে নিয়ে নেয়। তার ডাক চিৎকার করলে অবশেষে ধর্ষণকারীরা তাদেরকে রেখে পালিয়ে যায়। পরে ওই যুবতী দুজন প্রাণে রক্ষা পেয়ে বাগান থেকে রাস্তায় এসে কান্না কাটি করতে থাকে। তাদেরকে ওই এলাকার এক দোকানি দেখে সিএনজি খবর দিয়ে এনে উঠিয়ে দেয়। এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ধর্ষীতার পরিবারের লোকজন ঘটনার পরেই ধর্ষণকারীদের মধ্যে সিএনজি চালক ছামেদ ও সোহেল সহ দুই লম্পটকে ধরে এনে উত্তম মধ্যম দেয়। ঘটনার পর থেকেই ধর্ষণকারীরা তাদের ঘর বাড়ি ছেড়ে এলাকা থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এই ঘটনাটি ধর্ষীতা যুবতির পরিবারের লোকজন মানসন্মানের ভয়ে কাউকে বলেননি। ধর্ষিতা পরিবারের লোকজন জানায়, শাহ মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের মৃত ইদ্রিছ ফরাজীর মেয়ের চাঁদপুর শহরে বিয়ে হয়েছে। তার একটি সন্তার হবার পর মাদকসেবী জামাই তাকে তালাক দেয়। সেই খবর পেয়ে মতলব দক্ষিনের ৬নং দক্ষিন উপাধি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড দক্ষিন বাখরা গ্রামের বখাটে যুবকরা তাকে ও তার বান্ধুবীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কথা বলার নামে ঘটনাস্থলে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনাটি ঐ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তফাকে জানানো হলেও তিনি কোন পদক্ষেপ না নিয়ে ঘটনা ধামা চাপা দেয়ার চেষ্টা চালায়। এব্যাপারে লম্পট ধর্ষনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।