গত বছর থেকেই ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসর বিশ্বকাপে নিজেদের ফিরে পেতে শুরু করে বাংলাদেশ। জায়গা করে নেয় কোয়ার্টার ফাইনালে। শুধু বিশ্বকাপ নয়, টাইগাররা এরপর দেশের মাটিতে একের পর এক সাফল্য অর্জন করে।
ওয়ানডের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে টি-টোয়েন্টিতেও। এশিয়া কাপের ফাইনাল খেললেও দুর্ভাগ্যবশত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূলপর্বে জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ।
গেল মার্চে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশন শেষ হওয়ার পর থেকে আর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়নি বাংলাদেশ। সেপ্টেম্বরে ভারত সফরে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটা যে হচ্ছে না, তা এক প্রকার নিশ্চিতই হয়ে গেছে। ফলে দীর্ঘ বিরতির পর আবার খেলার সুযোগ আসবে আগামী অক্টোবরে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজে।
ক্রিকেট সমর্থক ও ক্রিকেটারদের জন্য এতো লম্বা বিরতি হতাশাজনক। এত ভালো পারফরম্যান্সের পরেও কেন এত বিরতি- তা মানতে পারছেন না জাতীয় দলের ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। এভাবে লম্বা সময় ধরে না খেললে সেটা মাঠের পারফরম্যান্সের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন তামিম।
ক্রিকেটের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তামিম বলেন, ‘এত ভালো মৌসুম কাটানোর পর আমরা ছয় মাস ধরে ক্রিকেট খেলছি না। এটা অবশ্যই আমাদের ওপর প্রভাব ফেলবে। আমাদের বিপক্ষে খেলার জন্য সবারই আগ্রহী হওয়া উচিত। কিন্তু আমরা বসে আছি। আমরা জানি না যে ছয় মাস পর কীভাবে খেলতে পারব। জিম্বাবুয়ে ছাড়া কোন আর দল এত লম্বা সময় ক্রিকেটের বাইরে থাকে না।’
এত এত সাফল্যের পরও অন্য দেশগুলো কেন বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে আগ্রহী হচ্ছে না, তা কিছুতেই ভেবে পাচ্ছেন না তামিম। তিনি বলেছেন, ‘ছয় মাস ধরে বসে থাকাটা কোনো আমাদের ক্রিকেটকের জন্য ক্ষতিকর। পাঁচ বছর আগে যেমন খেলতাম, এখনও তেমন খেললে তবু কিছু বোঝা যেত। তখন আমাদের ফলাফলটা ছিল অনুমানযোগ্য। কিন্তু এত ভালো নৈপুণ্য দেখানোর পরও তারা কেন আমাদের বিপক্ষে খেলতে চায় না, আমি জানি না।’
টেস্ট খেলুড়ে সব দলই কাটাচ্ছে ব্যস্ত সময়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলেছে ত্রিদেশীয় সিরিজ। শ্রীলঙ্কা টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। পাকিস্তান গেছে ইংল্যান্ড সফরে। জিম্বাবুয়ে সফর শেষে ভারত এখন প্রস্তুতি নিচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের। আগামী জুলাই-আগস্টে নিউজিল্যান্ডও যাবে জিম্বাবুয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। সবারই কাটছে ব্যস্ত সময়। শুধু বাংলাদেশই পাচ্ছে না আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার সুযোগ।
এভাবে টানা ছয় মাস বসে থাকতে হলে সব দলের পারফরম্যান্সেই নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন তামিম, ‘যেকোনো শীর্ষ দলকে ছয় মাসের জন্য বসে থাকতে বলেন। আট মাস বসে থাকার পর তারা কেমন খেলছে, সেটা দেখতে পাবেন। আগে যেভাবে খেলত, তারা কোনোভাবেই আর সেভাবে খেলতে পারবে না।’