জলাতঙ্ক একটি মারণব্যাধি, যা প্রাণী থেকে মানুষে ও প্রাণীতে সংক্রমিত হতে পারে। কুকুর, বিড়াল, বানর, বেজি, শিয়ালের কামড় বা আঁচড়ে এ রোগটি সংক্রমিত হয়। বিশ্বে বছরে ৫৯ হাজার মানুষ এ রোগে মৃত্যুবরণ করেন।
এ রোগের ভয়াবহতা উপলব্ধি, জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রতিরোধ ও নির্মূলের লক্ষ্যে ২০০৭ সাল থেকে বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস উদযাপন হয়ে আসছে। এ ধারাবাহিকতায় আজ দেশেও পালিত হচ্ছে বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস-২০২২। এ বছর বিশ্ব দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘জলাতঙ্ক : মৃত আর নয়, সবার সঙ্গে সমন্বয়’।
দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, সঠিক সময়ে চিকিৎসা করালে জলাতঙ্ক শতভাগ নিরাময় করা সম্ভব। এদিকে দিবসকে সামনে রেখে সরকার, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
সিডিসি সূত্র যুগান্তরকে জানায়, দেশে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত দেশে জলাতঙ্ক আক্রান্ত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে ৯১ হাজার ৬১০টি কুকুরকে মাস ডগ ভ্যাক্সিনেশন (এমডিভি) বা ব্যাপক হারে টিকা দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে ২ লাখ ৯৯ হাজার ৯৮৯ জনকে এআরভি জলাতঙ্ক প্রতিরোধে টিকা দেওয়া হয়েছে।
মহাখালী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মোহাম্মাদ মিজানুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, কুকুর বা সন্দেহভাজন জলাতঙ্কগ্রস্ত প্রাণী দ্বারা আক্রান্তের পর রোগীর দেহে সৃষ্ট ক্ষতস্থান যথাশিগগির ক্ষারযুক্ত সাবান ও প্রবহমান পানি দ্বারা ১৫ মিনিট ধৌত করা হলে, সেখানে নিপতিত লালা বা রেবিস ভাইরাস বা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। সহজ এ প্রযুক্তি প্রয়োগ করে প্রায় শতকরা ৮০ ভাগ ক্ষেত্রে এ ভয়ংকর ব্যাধি প্রতিরোধ করা সম্ভব হতে পারে।