প্রতিনিধি
চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জের বিরুদ্ধে দাবিকৃত টাকা না দেয়ায় বিবাদী কর্তৃক বাদিনীকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা ও বসত বাড়ি ভেঙ্গে ভিটায় গাছের চারা রোপনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকে অফিসার ইনচার্জ মোবাইল বন্ধ করে ঢাকায় ও চট্টগ্রামে অবস্থান করছে বলে জানা যায়।
ঘটনাসূত্রে জানা যায়, মতলব দক্ষিন থানার পূর্ব কলাদী গ্রামের জামাল উদ্দিনের সাথে তার বড় ভাই, বড় বোন ও ভাতিজাদের সাথে ৭/৮ বছর ধরে ১৪ শতাংশ সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। জামাল উদ্দিনের বড় ভাই কুদ্দুস ওই সম্পত্তির জন্য আদালতে ১৪৫ ধারায় একটি মামলা করে। ওই মামলা আদালত খারিজ করে দেয়। পরবর্তীতে জামালের স্ত্রী সামছি বেগম নন জিয়ার একটি মামলা করে। ওই মামলাটি সামছি বেগমের পক্ষে আসে। পরে সামছি বেগমকে মারধর করলে সে আদালতে একটি হত্যার চেষ্টার অভিযোগ মামলা করে। ওই মামলাটি বর্তমানে চলমান অবস্থায় রয়েছে। সামছি বেগম কুদ্দুসের দায়ের করা ১৪৫ ধারার মামলাটি স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করে। বিজ্ঞ আদালত বিষয়টি তদন্ত করে ১ মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে মতলব দক্ষিণ থানাকে নির্দেশ দেয়। এই আদেশটি গত ৯ জুন থানায় গেলে তা অফিসার ইনচার্জ তদন্ত কাজ শুরু করে ১৬ জুন থেকে। সামছি বেগম জানায়, অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম ১২ জুন সন্ধ্যায় থানায় ডেকে নেয়। তখন তাকে কাগজপত্র সব ঠিক আছে বলে জানায়। বিবাদীর পক্ষ যাতে তাকে হস্তনস্ত না করে সরেজমিনে সম্পত্তি বুঝিয়ে দেবেন বলে দেড় লাখ টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জাহাঙ্গীর আলমের দাবীকৃত টাকার মধ্যে সামছি বেগম থানার সকল অফিসারদেরকে জানিয়ে জাহাঙ্গীর আলমকে ২৫ হাজার টাকা দেয়। এমনকি সামছি বেগমের স্বামী জালাল উদ্দিনকে অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম সাদা কাগজে সই রাখতে চাইলে তা না দেয়ায় মামলায় জড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় বিবাদী কুদ্দুস গং জালাল উদ্দিনের স্ত্রীকে সামছি বেগম (৩০) বাড়ির মধ্যে একা পেয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। শুধু আহত করে তারা ক্ষান্ত হয়নি জালাল উদ্দিনের বসত ঘর ভেঙ্গে লুটপাট করে নিয়ে যায় বলে জালাল উদ্দিন ও তার স্ত্রী সামছি বেগম জানায়। তারা আরো জানায়, সামছি বেগমের বসতভিটায় বিভিন্ন গাছের চারা রোপন করে দেয়। কিন্তু পুলিশকে বিষয়টি জানানোর পরেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আহত অবস্থায় সামছি বেগমকে অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলমকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি উল্টো গাল মন্দ করেন। পরে মুমুর্ষবস্থায় তাকে চাঁদপুর ২৫০ শয্যার সরকারি হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। আহত সামছি বেগম জানায়, মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম প্রতিপক্ষের কাছ থেকে প্রায় ২ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছে। যার জন্য এ ঘটনার পর থেকে ওসি জাহাঙ্গীর আলম তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়। প্রথমে সে চট্টগ্রাম ও পরে ঢাকায় গিয়ে অবস্থান করছে বলে জানা যায়।
শিরোনাম:
বুধবার , ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৭ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।