মাদ্রাসার হোস্টেল থেকে ছাত্র নিখোঁজ

স্টাফ রিপোর্টার ঳
চাঁদপুর শহরের জামিয়া মাদানিয়া আশরাফুল উলুম মাদ্রাসার হোষ্টেল থেকে ৩য় শ্রেণীর ছাত্র সাইফুল ইসলাম কাজী (রাকিব) ৩ দিন ধরে নিখোঁজ হয়েছে। নিখোঁজ রাকিব ৬নং মৈশাদী শিলন্দীয়া গ্রামের আলমগীর কাজির পুত্র। এ ব্যাপারে ছেলের শোকে পাগলপ্রায় সিএনজি চালক বাবা চাঁদপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগন নং ( ৭০৩, তাং ১২.০৮.২০১৫) মাদ্রাসার ছাত্রটি গত ৩দিন ধরে নিখোঁজ হলেও এ ব্যাপারে দায় নিচ্ছেনা মাদ্রাসা কতৃপক্ষ।
নিখোঁজ সাইফুল ইসলাম কাজী রাকিবের পিতা আলমগীর কাজী জানায়, তার ছেলেকে তিনি শহরের জামিয়া মাদানিয়া আশরাফুল উলুম মাদ্রাসার হোস্টেল রেখে পড়াচ্ছেন। ৩য় শ্রেণীর ছাত্র রাকিব হোস্টেলে থাকলেও প্রতিদিন তার পরিবারের লোকজন তাকে খাবার দিয়ে আসে। প্রতিদিনের ন্যায় গত ৯ আগস্ট রোববার দুপুর ১২টায় রাকিবের মা নার্গিছ বেগম ছেলের জন্য দুপুরের খাবার নিয়ে যান। মাদ্রাসায় পৌঁছলে সহপাঠীরা জানায় রাকিবকে পাওয়া যাচ্ছে না। ছেলেকে না পেয়ে মাদ্রসার বড় হুজুরের (অধ্যক্ষ) কাছে গেলে তিনি রাকিবের মাকে জানায়, সকাল থেকেই রাকিবকে পাওয়া যাচ্ছেনা। সে কোথায় গেছে এব্যাপারে তাঁরা কিছুই জানেনা। তিনি (হুজুর) আরো বলেছেন, আপনাদের ছেলেকে আমরা কত পাহারা দিয়ে রাখবো।
আলমগীর কাজী আরো জানায়, মাদ্রাসায় রাকিবকে না পেয়ে পরিবারের লোকজন মিলে আত্মিয় স্বজনদের বাসায় অনেক খোঁজা-খুজি করেছি। আজ ৩দিন পার হয়ে গেলেও তাকে খুজে খুজে পাচ্ছিনা, আর মাদ্রাসার কতৃপক্ষ আমাদের সাথে ঠিক মতো যোগাযোগ করছেনা। আলমগীর গাজী আরো জানায়, এর আগে প্রায় দুই বছর পূর্বে ১৮/০৩/২০১৪ তারিখে মাদ্রাসার এক শিক্ষক রাকিবকে পড়া না পাড়ার কারণে দেয়ালের সাথে মাথা আঘাত করে রক্তাত্ত জখম করে। ৩দিন পরে বিষয়টি আমার জানতে পেরে চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে রাকিবকে কুমিল্লা নিয়ে সিটি স্কিন করাতে হয়েছে।
এ ব্যপারে জামিয়া মাদানিয়া আশরাফুল উলুম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাফেজ নেয়ামত উল্লাহ’র সাথে কথা হলে তিনি জানন, গত ৯ আগস্ট রোববার আমাদের গেইটম্যান (দারোয়ান) ছিলো না। সকাল অনুমানিক ১০টায় দিকে সবাই যখন ঘুমিয়ে ছিলো রাকিব সবার অগোচড়ে চাবি নিয়ে তালা খুলে পালিয়ে যায়। তিনি আরো জানায়, এর আগেও রাকিব বেশ ক’য়েকবার মাদ্রাসা ছেড়ে পালিয়েছে। মাদ্রসাটিতে প্রায় ৮৫জন শিক্ষার্থীকে পড়ানোর জন্য মাত্র ৪জন শিক্ষক রয়েছে। রাকিবকে পেটানো হয়েছিলো কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যক্ষ বলেন, আমাদের ১জন শিক্ষক কম আছে, তবে শিক্ষক খোঁজা হচ্ছে অতিশিগ্র নিয়োগ দেয়া হবে। শিক্ষার্থীদের পেটানোর ব্যাপারে তিনি বলেন, রাকিবকে একবার পিটানো হয়েছিলো এটা সত্য তবে ওই শিক্ষককে আমরা বাদ দিয়েছি।