মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার আয়োজনে ১০ দিন ব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসবের ষষ্ঠ দিন বিকাল ৩ টায় বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজিবনী পাঠ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১০ দিন ব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসবের সার্বিক সহযোগিতায় চাঁদপুর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, চাঁদপুর থিয়েটার ফোরাম ও চাঁদপুর সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র।
মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার আয়োজনে ১০ দিন ব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসবের ষষ্ঠ দিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে নৃত্যধারার শিল্পীরা। নৃত্যধারার অধ্যক্ষ সোমা দত্তের পরিচালনায় নৃত্য পরিবেশন করে আরিফুল ইসলাম, ইসরাত জাহান এসা,সুরঞ্জনা দত্ত কূহু, ফারাবি রহমান জুয়েল,পিপল দাস, আরিফ হোসেন, ফাতেমা জান্নাত রিদিতা, রিতা ত্রিপুরা, চন্দ্রীমা দেবী হিয়া, মুনতাহা, তোরা সাহা, স্নেহা, অথরা দাস, শৈলি দাস।
এরপর বিষয় ভিত্তিক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিজয় মেলার চেয়ারম্যান অ্যাডঃ বদিউজ্জামান কিরণের সভাপতিত্বে ও মহা সচিব হারিন আল রশীদের সঞ্চালনায় চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমির মহাপরিচালক রোটাঃ কাজী শাহাদাত বলেন, বঙ্গবন্ধুর পিতা মাতা বলেন আমরা কখনোই মুজিব বলে ডাকিনি, আমরা ডাকতাম খোকা বলে। শৈশবে আমরা দেখেছি তার মধ্যে সদ ইচ্ছা ছিল। যেখানে অন্যায় দেখেছেন সেখানেই প্রতিবাদ করেছেন। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এক সময় ছিলনা। দৈনিক আজাদ পত্রিকা বাংলাদেশের প্রথম সাড়ির পত্রকা ছিল। এই পত্রিকায় কখনোই আন্দোলন ও সংগ্রামের সংবাদ প্রকাশ করতো না। বঙ্গবন্ধু তখন চিন্তা করেন স্বাধীন সংবাদ প্রকাশের জন্য পত্রিকা প্রকাশের। আর অর্থ যোগান দিয়েছিলেন মাওলানা ভাসানি। প্রকাশ করলেন ইত্তেফাক পত্রিকা। দায়িত্ব দিলেন তাফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়াকে।বহু রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। গনকণ্ঠ নামের পত্রিকা প্রকাশ করেন কবি আল মাহমুদ। বঙ্গবন্ধু আর স্বাধীনতার বিপক্ষের সংবাদ প্রকাশ করে বঙ্গবন্ধুকে ঘায়েল করার চেস্টা করা হয়। বঙ্গবন্ধু তাও মেনে নেন। বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে সংবাদপত্রের কণ্ঠ রোধ করতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধু সকল সংবাদ পত্র বন্ধ করে মাত্র চারটি সংবাদপত্র প্রকাশনায় রাখা হয়। ৮০ দশকে সাংবাদিকতা কেমন ছিল। প্রতিটি সংবাদপত্রের অফিসে সন্ধ্যায় ডিজিএফআইরা গিয়ে তদারকি করতো। সরকার বিরোধী স্যবাদ দেখলে তা বন্ধ করে দিত। ৯০ দশকে আমরা কি দেখলাম? শেখ হাসিনা রাস্ট্রক্ষমতায় এসে পিতার মতো স্যবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিলেন। পিতার আতর্শে বিশ্বাসি বলেই কাজ করছেন। আমরা দেখতে পেলাম স্বাধীন সাংবাদিকতার বিকাশ।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন ডাঃ পিযুষ কান্তি বড়ুয়া, কালচারাল অফিসার আয়াজ মাবুদ, অ্যাডঃ মজিবুর রহমান ভীইয়া, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সভাপতি তপন সরকার।
এর পর নারায়নগঞ্জ হাওয়াইন গবটার পরিষদের গবটার বাজানো অনুষ্ঠান। সব শেষে বঙাগবনন্ধু শিশু কিশোর মেলার শিশু শিপ্লীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।সংগঠনের সভাপতি অ্যাডঃ বদিউজ্জামান কিরণ ও সাধারন সম্পাদক অ্যাডঃ আমির উদ্দীন ভূইয়া মন্টুর সার্বিক ব্য্স্হাপনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রঞ্জন সূত্রধর। সংহিত পরিবেশন করে সাফানা নামরিন হোসেন মেধা, তাসফিয়া ফাহমি, অর্পিতা ঘোষ, দিপা রায় চৈতি, প্রিয়ন্তি পাল,ঋতু দে, প্রিয়ন্তি রক্ষিত, সেজুতি দেবনাথ।নৃত্য পরিবেশন করে আরিফুল ইসলাম, ইসরাত জাহান এসা,সুরঞ্জনা দত্ত কূহু, ফারাবি রহমান জুয়েল,পিপল দাস, আরিফ হোসেন, ফাতেমা জান্নাত রিদিতা, রিতা ত্রিপুরা, চন্দ্রীমা দেবী হিয়া, মুনতাহা, তোরা সাহা, স্নেহা, অথরা দাস, শৈলি দাস।
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট/চাঁদপুরনিউজ/এমএমএ/