আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে বিএনপি আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি এই মন্তব্য করেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মদিন উপলক্ষে এই সভার আয়োজন কর হয়।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সবাইকে জেগে উঠতে হবে। চলমান আন্দোলনে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, ভোলায় যারা প্রাণ দিয়েছে রক্ত ছুঁয়ে শপথ গ্রহণ করতে হবে, সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত কেউ ঘরে ফিরব না। জেল-জুলুম উপেক্ষা করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, মোবাইল স্মার্ট সেট, যেগুলোতে বিজয় কি-বোর্ড বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। কারণ এই বিজয় কি-বোর্ডের মালিকানা হচ্ছে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের, যিনি তথ্য-প্রযুক্তিমন্ত্রী। এটি ভয়ংকর কথা। দুর্নীতি কী পরিমাণ হতে পারে? কখনোই একজন মন্ত্রী নিজের কম্পানিকে সরকারের কোনো লাভজনক কাজের মধ্যে জড়াতে পারেন না।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ ১৯৭৫ সালে বাকশাল করে গণতন্ত্র হত্যা করেছে। এখন গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে, গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। শুধু জাতীয় নির্বাচন হয়, স্থানীয় সরকার নির্বাচনী ব্যবস্থাকে তারা ধবংস করে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্র একসঙ্গে যায় না। আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্র সাংঘর্ষিক।
দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি ও সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের পরিচালনায় আলোচনাসভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, শাহজাহান ওমর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, আবদুস সালাম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ বক্তব্য রাখেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মীর নাছির উদ্দিন, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাবেক এমপি রেহানা আক্তার রানুসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।