পবিত্র রমজান মাস মুসলিম উম্মাহর জন্যে অতীব গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ মাস। এ মাসটি সিয়াম সাধনার মাস। সঙ্গত কারণেই এ মাসে মানুষের সব কিছুর চাহিদা অন্যান্য মাসের তুলনায় অনেকটা বেড়ে যায়। এর মধ্যে বিদ্যুৎ সেক্টর অন্যতম। অর্থাৎ রমজান মাসে অন্যান্য মাসের তুলনায় বিদ্যুতের চাহিদা অনেকটা বেড়ে যায়। আর এ বিষয়টিকে মাথায় রেখে রমজানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতকরণে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সভা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খানের সভাপ্রাধানে অনুষ্ঠিত এ সভায় পবিত্র রমজান মাসে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয় নিয়ে নানা আলোচনা হয়। জেলা প্রশাসক তাঁর বক্তব্যে বলেন, রমজান মাসটিই হচ্ছে ইবাদত-বন্দেগীর মাস। বিদ্যুৎ সবসময়ই প্রয়োজন। তারপরও রমজানে অতীব গুরুত্বপুর্ণ তিনটি সময়ে বিদ্যুৎ থাকাটা খুবই জরুরি। এ তিনটি সময় হচ্ছে সাহ্রী, ইফতার ও তারাবীহর নামাজ। তাই এ তিনটি সময়ে কোনোভাবেই লোডশেডিং করা যাবে না। খুব বেশি প্রয়োজন হলে এর আগে-পরে যেনো করা হয়। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক চাঁদপুর পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুতের বক্তব্য জানতে চান।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, চাঁদপুর-এর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ শাহাদাত হোসাইন বলেন, বর্তমানে আমাদের বিদ্যুতের যে ম্যানেজমেন্ট অর্থাৎ চাহিদা ও বরাদ্দ রয়েছে, তাতে লোডশেডিং হওয়ার তেমন কোনো আশঙ্কা নেই। কিন্তু তারপরও দেখা যায় যে, মাঝে মধ্যে লোডশেডিং হয়ে যায়। সেটা ন্যাশনাল লোড ট্রান্সফার থেকে (কেন্দ্রীয়ভাবে) করা হয়। এক্ষেত্রে আমাদের কোনো হাত নেই। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর জিএমও প্রায় একই কথা বললেন। তাঁদের দুজনের বক্তব্যের পর জেলা প্রশাসক বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে যদি কোনো লোডশেডিং করা হয় তাহলে সেখানে আমাদের এই সভার সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানিয়ে দিবেন। আরো উপরে যদি কথা বলার প্রয়োজন হয় তাহলে তাও করবো। অর্থাৎ রমজান মাসের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি সময়ে যাতে কোনোভাবেই লোডশেডিং না হয় সে জন্যে সকল ধরনের চেষ্টা করতে হবে।
সভায় এ বিষয়ে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল ও জেলা ক্যাবের সভাপতি জীবন কানাই চক্রবর্তী। এছাড়া সভায় প্রশাসনিক অন্যান্য কর্মকর্তাসহ বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।